ফ্রিল্যান্সিং খাতের উন্নয়নে বিএফডিএস-এর সাথে পার্টনারশিপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
দেশের ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে পার্টনারশিপ করেছে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস)।
ফ্রিল্যান্সারদের ফোরাম বিএফডিএস-এর সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের স্বাক্ষরিত এই চুক্তি, সম্ভাবনাময় ফ্রিল্যান্সিং শিল্পের প্রতি উভয় সংস্থার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
এই পার্টনারশিপের অধীনে, গুরুত্বপূর্ণ ভেরিফিকেশনের জন্য এপিআই সংযোগের মাধ্যমে যুক্ত হবে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বিএফডিএস। এর ফলে, আরো দ্রুত অনবোর্ডিং এবং সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে ব্র্যাক ব্যাংক। বিএফডিএস-এর সদস্যদের ব্যাংকিং চাহিদা মেটাতে পৃথকভাবে নিবেদিত কর্মীদের নিযুক্ত করবে ব্যাংক। একইসাথে, সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সম্ভাবনাময় এই খাতকে উন্নত করার লক্ষ্যে নতুন উপায় খুঁজতে সংস্থা দুটি বিভিন্ন আলোচনা সভার আয়োজন করবে।
ব্র্যাক ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে ফ্রিল্যান্সিং ফোরামের পার্টনার হিসেবে কাজ করছে এবং ফ্রিল্যান্সার ম্যাট্রিক্স ভিসা ডেবিট কার্ড প্রবর্তনের মাধ্যমে একটি সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে চলেছে।
ঢাকায় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএফডিএস-এর চেয়ারম্যান ডাঃ তানজিবা রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মোঃ মাহীয়ুল ইসলাম-সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এই পার্টনারশিপ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি যে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর আমাদের অর্থনীতির জন্য অপার সম্ভাবনাময়। তাই, বিএফডিএস-এর সদস্যদের জন্য আমরা বিশেষ ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে পার্টনারশিপ করেছি। এই পার্টনারশিপটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক ফ্রিল্যান্সার হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চাই এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয় বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে চাই। ফ্রিল্যান্সারদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমরা আরো নতুন উপায় অন্বেষণ করতে থাকবো।”
বাংলাদেশে বর্ধনশীল ফ্রিল্যান্স সেক্টরের সহায়তার জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই যৌথ উদ্যোগ। পাশাপাশি, এটি আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রতি ব্যাংকের অটল প্রতিশ্রুতিকেও প্রতিফলিত করে। ব্র্যাক ব্যাংকের লক্ষ্য হলো বিএফডিএস-এর দক্ষতা এবং সংস্থানগুলোকে কাজে লাগিয়ে যথাযথ আর্থিক সমাধান ও সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিশেষভাবে ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা মেটানো, তাদের প্রবৃদ্ধিতে সহায়তা করা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখা।