Home অপরাধ রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি, নিহত ৪
ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলি, নিহত ৪

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ রোহিঙ্গাকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আরও ২ রোহিঙ্গা গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়ার ১৫ ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে তাদের ৩ জনকে হত্যা করা হয়। একই দিন দুপুরে আরেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেনের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ১৭ নম্বর ক্যাম্পের সি/৭৭ ব্লক এলাকায় ১০-১২ আরসা সদস্য একত্রিত হয়ে ক্যাম্পের এইস/৭৭ ব্লকের বাসিন্দা আবুল বশরের ছেলে আবুল কাসেম (৩৫) নামে ১ রোহিঙ্গাকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ক্যাম্পে আরসার বিরুদ্ধে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

অন্যদিকে রাত আটটার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৩ ব্লক এলাকায় আরসা ও আরএসও সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সন্ত্রাসীদের গুলিতে (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন- আরএসও সদস্য) ওই ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. আলীর ছেলে মো. জোবায়ের (১৬) ঘটনাস্থলে নিহত হন। ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি/৬ মো. শফির ছেলে আনোয়ার সাদেক (২৭) (আরএসও সদস্য), জি/৩ ব্লক এলাকার বাসিন্দা কামাল উদ্দিনের ছেলে জয়নাল উদ্দিন (২৮) ও জি/৭ সৈয়দুল বশরের ছেলে আয়াছ (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশপাশের রোহিঙ্গারা আহতদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে থাকা এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনোয়ার সাদেকের (২৭) মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পরই এপিবিএন ও থানা পুলিশ রাতে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের ভয়ভীতি দেখাতে আরসা সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। ফলে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ক্যাম্পে ৪টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। একে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের লোকজন প্রচণ্ড আতঙ্কিত।

প্রসঙ্গত, এর আগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইমাম হোসেন নামে আরেক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *