খাগড়াছড়ি আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৬ জন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর খাগড়াছড়ি আসনে ১৩ দিনে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন নিলেও বুধবার একদিনে সংগ্রহ করেছেন ৫ জন।
এ নিয়ে বুধবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি আসনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বদ্বীতার জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৬ জন প্রার্থী। একই দিন দুপুর ২ টায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নিয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন খাগড়াছড়ি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির ভোটাররা উন্নয়নের পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারী রায় দিবেন। আবারও নির্বাচিত হলে, অতীতের মতো সকল ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মো. সহিদুজ্জামান বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম গ্রহণ ও জমা দেয়ার সময় রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এবং একজন প্রার্থী জমা দিয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণ বিধি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মনিটরিং অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
মনোনয়ন নিয়েছেন যাঁরা :
খাগড়াছড়ির একটি আসনে বুধবার পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৬ জন প্রার্থী। তন্মধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মিথিলা রোয়াজা, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী হয়েছেন গুইমারা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান উশেপ্রু মারমা, জাকের পার্টির মো. হোসেন এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মোস্তফা।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সমীর দত্ত চাকমা জানান, নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তবে না পাওয়ায় এবং দলীয় প্রধানের ঘোষণা মেনেই স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে যাচ্ছি। জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মাধ্যম নির্বাচন। জনগণ যাকে বেছে নিবেন তাকে জয়ী করবেন।
তবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।