‘এক মাসে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার’
২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮৩৭টি মামলায় বিএনপির ৭৩ হাজার ১২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ হাজার ৩২৬ জনকে। এক সাংবাদিকসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপিসহ বিরোধীদের মহাসমাবেশে সরকার ও সরকারি দলের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নাশকতার নজিরবিহীন দুঃখজনক ঘটনাবলির পর এ পর্যন্ত ৮৩৭টির বেশি হয়রানিমূলক গায়েবি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২০ হাজার ৩২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামি করা হয়েছে ৭৩ হাজার ১২৩ জন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে। আহত হয়েছেন ৮ হাজার ২৪৯ জনের বেশি নেতাকর্মী। নিহত হয়েছেন একজন সাংবাদিকসহ বিএনপির ১৭ জন। আর ৩৫টি মিথ্যা মামলায় গত তিন মাসে ৬৩৬ জন নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
কায়সার কামাল বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত এক লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি মামলায় বিএনপি ও বিএনপির সহযোগী গণসংগঠনগুলোর ৫০ লাখের বেশি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের আসামি করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের বেআইনি গ্রেফতার ও হয়রানি থেকে দেশের সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক কর্মীদের আইনি সহায়তার পথ রুদ্ধ করতে এ অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার আইনজীবীদের হয়রানি ও গ্রেফতার করছে; যা আইনের শাসন, মানবাধিকার ও সংবিধানের পরিপন্থি।
বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক বলেন, আইনজীবী সমাজের পক্ষ থেকে বর্তমানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে অংশ নেওয়া বিরোধী দল, বিরোধী মত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ওপর সরকারের জঘন্যতম ও নজিরবিহীন নিপীড়ন বন্ধ করে গ্রেফতারকৃত সব আইনজীবীর মুক্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, আইনজীবী সমাজের বিরুদ্ধে করা সব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গ্রেফতার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি ও সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, আব্দুল জব্বার ভুইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।