ডিবি হেফাজত থেকে ছাড়া পেলেন নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী সেই উজ্জ্বল
বাসা থেকে তুলে নেওয়ার চারদিনের মাথায় ছাড়া পেলেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম কামরুজ্জামান খান উজ্জ্বল। তাকে মিন্টো রোডে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। তবে তাকে কেন তুলে নেওয়া হয়েছিল বা কেন আটকে রাখা হয় সে বিষয়ে এখনো মুখ খুলছেন না কেউ। উজ্জ্বল পাবনা-২ আসনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।
গত শুক্রবার ভোরে ঢাকার সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে উজ্জ্বলকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি মতিঝিল বিভাগের একটি টিম। এরপর থেকে তাকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়।
পরিবারের দাবি, উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা পরোয়ানা ছিল না।
সোমবার রাত ৭টায় উজ্জ্বলের স্ত্রী ডা. মিশু যুগান্তরকে জানান, ডিবি অফিস থেকে তার স্বামীকে নিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছেন। এর বাইরে আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদের সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে ডিবি মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিমের এডিসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে একটি দল উজ্জ্বলের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুমের রামপুরার বাসায় যায়। সেখান থেকে মাসুমকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট্রাল রোডে উজ্জ্বলের বাসায় আসে। এরপর উজ্জ্বলকে বাসা থেকে তুলে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
উজ্জ্বলের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক মাসুম যুগান্তরকে জানান, তুলে নেওয়ার সময় ডিবি কর্মকর্তারা উজ্জ্বল ও তার পরিবারকে জানান, তাকে (উজ্জ্বল) নিয়ে যেতে ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ পাঠিয়েছেন। তিনি তার সঙ্গে কথা বলবেন। এর বাইরে আর কিছু তাদেরকে জানানো হয়নি।
এদিকে বারবার ডিবি কার্যালয়ে ধর্না দিয়েও উজ্জ্বলকে কেন হেফাজতে নেওয়া হয়েছে-এর কারণ জানতে পারেনি পরিবার।
পরিবার সূত্র জানায়, ডিবি যখন যেসব কাগজপত্র চেয়েছে, তাৎক্ষণিক তা দেওয়া হয়েছে। রোববার উজ্জ্বল ও তার স্ত্রী ডা. মিশুর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও ট্যাক্সের কাগজ চেয়েছিল, তাও যথাসময়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তবে কোনো মামলা বা পরোয়ানা ছাড়া ডিবি কার্যালয়ে উজ্জ্বলকে এভাবে আটকে রাখায় উৎকণ্ঠার মধ্যে এতদিন পার করেন ভুক্তভোগী পরিবার।