চবিতে আসন খালি ৩ শতাধিক, দেড় মাস বন্ধ মেধাতালিকা প্রকাশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ষষ্ঠ মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর। এরপর চূড়ান্ত ভর্তি ও মাইগ্রেশনের তালিকা দেওয়া হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। চূড়ান্ত এই তালিকা থেকে দেখা যায় ৮ ইউনিট ও উপ-ইউনিটে মোট আসন খালি রয়েছে ৩ শতাধিক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদভুক্ত এ ইউনিটে খালি রয়েছে ১০৫ আসন। এছাড়া কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের বি ও বি১ ইউনিটে ৮৩, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সি, সি১ ও সি২ ইউনিটে ৬৫, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডি ইউনিটে ৫২ আসন খালি। সে হিসাবে মোট খালি আসনের সংখ্যা ৩০৫টি।
এ ইউনিটের মেধাতালিকায় অপেক্ষমান পাবনার আদনান শরিফ অনিক যুগান্তরকে বলেন, আমরা আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি ৭ম তালিকার জন্য। পরবর্তীতে আসন আরও খালি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ পরিচিত অনেকে কৃষিগুচ্ছে ভর্তির জন্য চবি থেকে ভর্তি বাতিল করেছেন।
আরেক ভর্তিচ্ছু নানজিবা নাওয়ার যুগান্তরকে বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকায় কয়েকজনের পরেই আমার সিরিয়াল। আসন খালি থাকায় আমরা ভাবছিলাম ৭ম তালিকা দিবে।
নূর ই জান্নাত নূপুর বলেন, আগে মেরিট লিস্টের শেষের দিকে অপেক্ষমানদের আগ্রহের ভিত্তিতে খালি আসন পূরণ করা হতো। কর্তৃপক্ষ চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন।
বিভাগগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১০০ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৭১ জন। নৃবিজ্ঞান বিভাগের মোট ১০৫ আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন। একই চিত্র উদ্ভিদবিজ্ঞান, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানসহ অনেক বিভাগে।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. খাইরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ভর্তি কমিটি মিটিং করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
ভর্তি কমিটির সচিব ও অ্যাকাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এমএম আকবর হোছাইন যুগান্তরকে বলেন, ৭ম তালিকার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। মিটিং না হলে বলা যাচ্ছে না।
ডি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, এ বিষয়ে মিটিং করার জন্য বলেছি। ভিসি ম্যাম চাইলে মিটিং আহবান করতে পারেন।
ভর্তি কমিটির সভাপতি ও চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার যুগান্তরকে বলেন, যেহেতু ক্লাস শুরু হয়ে গেছে। সম্ভবত এখন আর ৭ম তালিকা দিবে না। ভর্তি পরীক্ষা কমিটিও আর চায় না। ইউজিসি থেকেও নির্দেশনা আছে কম শিক্ষার্থী নেওয়ার জন্য। তবে, ৭ম তালিকা দিলে যদি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়, আমরা দেখি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে বলা যাবে।