Home জেলা রাজনীতি পদপ্রত্যাশীকে মারধর, রাজশাহী মহানগর যুবলীগে উত্তেজনা
নভেম্বর ১৩, ২০২৩

পদপ্রত্যাশীকে মারধর, রাজশাহী মহানগর যুবলীগে উত্তেজনা

রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হয় গত ২৬ সেপ্টেম্বর। তবে কেন্দ্র এখনও কমিটি দেয়নি। এরই মধ্যে পদপ্রত্যাশীরা নিজেদের শক্তির জানান দিতে জড়িয়ে পড়ছেন নানা কর্মকাণ্ডে। সর্বশেষ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মাজেদুল আলম শিবলী ও তার সমর্থক সাদেক আলীকে মারধর করেন সভাপতি পদপ্রত্যাশী তৌরিদ আল মাসুদ রণির লোকজন। এনিয়ে যুবলীগে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই গ্রুপের পক্ষে বোয়ালিয়া থানায় ৪টি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে।

রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় করা সাধারণ ডায়েরিতে মারপিট ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তারা। বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, মাজেদুল আলম শিবলী তার দায়ের করা জিডিতে তৌরিদ আল মাসুদ রনিসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ৫৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। আর অপর তিন জিডিতে মাজেদুল আলম শিবলীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে জিডি করেছেন রণির সমর্থকরা। জিডিগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আগের দিন শুক্রবার রাতে তিন পক্ষের নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে সময় ভাগ করে দেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। এরপর ওই বৈঠক থেকে বের হওয়ার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুই পক্ষ হট্টগোল, হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শনিবার যার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, নগরীর রাণীবাজারের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক শেষে একে একে বের হয়ে আসে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। বের হওয়ার সময় এক পক্ষকে ভবনের সিঁড়ির সামনে জলটলা করতে দেখা যায়। আরেক পক্ষ বের হলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দুজন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কিল-ঘুষির শিকার হন। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী মাজেদুল আলম শিবলী অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে তার সমর্থক সাদেক আলী কথা বলতে চাইলে রণি ধমক দেন। এরপর রণি তার লোকজন ডেকে রাণীবাজারে জমায়েত করেন। পরে সাদেক আলীকে মারধর করা হয়। সাদেক আলীকে রক্ষা করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। সভাপতি পদপ্রত্যাশী তৌরিদ আল মাসুদ রণির উপিস্থিতিতে ও নির্দেশে এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেন শিবলী।

তৌরিদ আল মাসুদ রণি দাবি করেন, ছোট ঘটনাকে শিবলী ‘হাইলাইট’ হতে বড় করেছেন। সিসিটিভির ফুটেজে ঘটনা আছে বলে তিনি জানান।

দীর্ঘ সাত বছর পর গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর পাঠানপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ধারে সড়কে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৮টি জীবনবৃত্তান্ত জমা পড়েছে। এর মধ্যে সভাপতি পদে ১০টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ১৮টি আবেদন জমা পড়ে।

এদিকে মাজেদুল আলম শিবলীর উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সোমবার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নফিকুল ইসলাম সেন্টু, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বাবু, নাইমুল হুদা রানা, আবদুল মোমিন, শফিকুজ্জামান শফিক ও রকি কুমার ঘোষ, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের হাসান রুবন, মীর তৌহিদুর রহমান কিটু ও মাহমুদ হাসান রাজিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *