গাজায় হামলা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিজবুল্লাহর
গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা বন্ধ না হলে মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড শেখ নাঈম কাসেম।
বিবিসিকে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে অত্যন্ত গুরুতর ও ভীষণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এবং এর পরিণতি কেউ আটকাতে পারবে না।
গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে সম্প্রতি জানানো হয়, সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটা সময়েই বৈরুতে একটি সাক্ষাৎকারে হিজবুল্লাহর উপপ্রধান ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
হিজবুল্লাহর এই নেতা বলেন, বিপদটা সত্যিই আসতে চলেছে। কারণ ইসরাইল বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়াচ্ছে এবং বেশি সংখ্যায় নারী ও শিশুদের হত্যা করছে। এই অঞ্চলে আরও বিপদ ডেকে না এনে কি এই পরিস্থিতি চলতে পারে? আমার মনে হয় না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরাইলের হামলা বাড়লে এই অঞ্চলের যুদ্ধের ঝুঁকিও বাড়বে।
যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব লীগ কর্তৃক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত শিয়া ইসলামী গোষ্ঠীটি লেবাননের বৃহত্তম রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি।
গাজায় যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত তারা শুধুমাত্র হুঁশিয়ারির মাত্রাই বাড়িয়েছে আর সতর্কভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
রোববার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় এক নারী ও তিন শিশুর মৃত্যুর পর হিজবুল্লাহ প্রথমবার গ্রাড রকেট ব্যবহার করে যাতে এক ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়।
হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ হুমকি দিয়ে বলেছেন, লেবাননে প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর জবাব সীমান্তের ওপারেও দেওয়া হবে। তবে এখনো তিনি ইসরাইলকে সর্বাত্মক যুদ্ধের হুমকি দেননি।
‘সমস্ত বিকল্প পথই খোলা রয়েছে’ এ কথায় জোর দিয়ে গোষ্ঠীটি মূলত সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের মধ্যেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ রেখেছে।
তাদের ৬০ জনেরও বেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছেন, কিন্তু তাদের জায়গা নেওয়ার মতো যুদ্ধের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিজবুল্লাহ-র আরও বহু সমর্থক আছে।
বৈরুতে এমন এক যোদ্ধাকে এই সপ্তাহে কবর দেওয়া হয়েছে, যার পরিবারের সদস্যরা কয়েক প্রজন্ম ধরে হিজবুল্লাহর হয়ে লড়াই করে এসেছে। শুধু তাই নয়, তিনি তার পরিবারের পঞ্চম সদস্য যিনি ওই গোষ্ঠীর হয়ে প্রাণ দিয়েছেন।