শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: ওবায়দুল কাদের
শেখ হাসিনাকে মিথ্যাচারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মিথ্যাচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার অর্জন ও অবদানকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তাঁর স্থান বাংলার জনগণের হৃদয়ে। আমরা বরাবরের মতো বিএনপির প্রতি আবারও আহ্বান জানাই—মিথ্যাচারের পথ পরিহার করুন, হত্যা-সন্ত্রাস-খুন, নৈরাজ্য, নাশকতা ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি পরিত্যাগ করুন।’
আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে গণতন্ত্রের উন্মেষ, বিকাশ ও প্রতিষ্ঠা যতটুকুই হয়েছে, তা আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। বিএনপি নিজেদের গণতন্ত্রকামী শক্তি হিসেবে দাবি করলেও মজ্জাগতভাবে তারা গণতন্ত্র ও দেশবিরোধী একটি অপশক্তি। এ কারণেই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিএনপি প্রধান শত্রু জ্ঞান করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিএনপির রাজনীতির মূল অস্ত্র। এখন তারা তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের আড়ালে পুনরায় সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।
বিএনপি বেপরোয়া আচরণ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী দেশের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপরও বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে এবং অসংখ্য যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। তাদের নারকীয় হামলায় লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলম মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, বিএনপির অগ্নি-সন্ত্রাসে একজন নিরীহ পরিবহনশ্রমিক নাইম অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া সারা দেশে আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এরপরও বিএনপি তথাকথিত ৭২ ঘণ্টা অবরোধের নামে নৃশংস হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি-সন্ত্রাসের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
বিএনপি মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তথ্য-সন্ত্রাস ছাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য ওবায়দুল কাদের। তিনি এই বিষয়ে বলেন, এখন তারা ব্যর্থ আন্দোলন নিয়ে বিদেশি প্রভুদের করুণা লাভের চেষ্টা করছে। অবাধ তথ্যপ্রযুক্তি প্রবাহের এই যুগে একজনকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা সাজিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিল এবং দেশ ও জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় থিতু হয়েছিল, যা জাতির সঙ্গে নির্লজ্জ প্রতারণা এবং তাদের দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চরম বেইমানি।