সেই পাপিয়ার জামিন, মুক্তিতে ‘বাধা নেই’
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর ওরফে পাপিয়াকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ জামিন দেন।
এ মামলায় জামিনের ফলে পাপিয়ার কারামুক্তিতে আপাতত আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
পাপিয়ার ১২৯ দিনের হোটেল বিলই ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা
আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী রবিউল আলম ও মোহাম্মদ হোসেন এবং দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী রবিউল আলম প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র আইনে করা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় পাপিয়া আগে জামিন পেয়েছেন। এই মামলায় জামিন পাওয়ায় তাঁর আপাতত মুক্তিতে কোনো বাধা নেই।
নেত্রী পাপিয়ার বাসায় ৫৮ লাখ টাকা, ফোনে ভিডিও ক্লিপ
নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমনকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে র্যাব। সহযোগীসহ পাপিয়া ও তাঁর স্বামী বিদেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছিলেন। তখন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষারত একটি উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে এনে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ৪ আগস্ট দুদক তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলা তদন্ত শেষে চলতি বছরের ৩০ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে অভিযোগপত্রে। দুদকের করা ওই মামলায় পাপিয়া ও মফিজুরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এর বিচারক।
সেই পাপিয়াকে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, পাপিয়া দীর্ঘদিন কারাগারে আছেন, এমন যুক্তিতে তাঁর আইনজীবী জামিন চেয়েছেন। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। দুদকের পক্ষ থেকে জামিনের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ তাঁকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন।