সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে অচল পুরো দেশ
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদের ডাকা টানা তিন দিনের প্রথম দিনের সর্বাত্মক অবরোধে অচল পুরো দেশ। রাজধানীসহ সারাদেশে অবরোধের সমর্থনে মিছিল, পিকেটিং করেছে আন্দোলনকারীরা। অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে সিলেটে একজন ও কিশোরগঞ্জে দুইজন বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়। এছাড়া সহ¯্রাধিক বিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার ও আহত হয়েছেন। বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে বাধা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ ও তার ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে উন্মত্ত হায়েনার মতো হামলা চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশ কর্তৃক কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ছাত্রদল নেতা রেফায়েত উল্লাহ ও কৃষকদল নেতা বিল্লাল মিয়া এবং সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার যুবদল নেতা দিলু আহমেদ জিলুকে গাড়ী চাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি বলেছেন, বিএনপির চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অস্ত্রসজ্জিত পুলিশ যে তান্ডবলীলা চালাচ্ছে, এটি কোনো সংঘর্ষ নয়, সুস্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। লক্ষ-লক্ষ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে মুষ্টিমেয় কিছু অস্ত্রধারীর এই মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে-বিদেশে ধিক্কৃত। রিজভী বলেন, নজিরবিহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও খুনের শিকার হয়েও বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলো সহিংসতার পথ বেছে নেয়নি। নেতাকর্মীরাও শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন।
এদিকে অবরোধের প্রথম দিনে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রাস্তায় প্রায় সব ধরনের গাড়ির সংখ্যা খুব একটা দেখা যায়নি। দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি গাবতলী, সায়দাবাদ, মহাখালী থেকে। একইভাবে দূরপাল্লার কোনো বাস রাজধানীতে প্রবেশও করেনি। ঢাকার বাইরে অবস্থা এমন হয়েছে যে, মাইকিং করেও বাসের যাত্রী পাওয়া যায়নি। ছিল না চিরচেনা যানজটও। মিরপুরসহ যেসব এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে, সেসব এলাকায় রাস্তায় মানুষজন এবং যানবাহনের সংখ্যা তেমন ছিল না। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল কম। রাস্তায় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ছিল স্বাভাবিক দিনের মতোই। সদরঘাটে যাত্রীর উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। দুই একটি লঞ্চ ছেড়েছে বলে জানা গেছে। তবে অবরোধের মধ্যে ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে স্বাভাবিক দিনের মতোই ট্রেন চলাচল করতে দেখা গেছে। যদিও স্টেশনে যাত্রীদের সংখ্যা স্বাভাবিক দিনের চেয়ে কম লক্ষ্য করা গেছে।
বিএনপির বিক্ষোভ : গতকাল সকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে অবরোধের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালায় অবরোধকারীরা। এসময় মিছিলে অবরোধের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে শোনা যায়।
পরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ ও তার ফ্যাসিবাদী সরকারের অনুগত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সরকারের নির্যাতন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছেন, সমালোচনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই অত্যাচার ও মামলার খড়গ নেমে এসেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো এসব মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার রয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত তার সপক্ষে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
রিজভী বলেন, নজিরবিহীন অত্যাচার, নির্যাতন ও খুনের শিকার হয়েও বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের দলগুলো সহিংসতার পথ বেছে নেয়নি। নেতাকর্মীরাও শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিয়েছেন। বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে গণতন্ত্রের পক্ষের সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একত্রে জোর আন্দোলন গড়ে তুলেছে।
বিএনপির নেতারা জানান, খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা এলাকার নগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট ফারুক উল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিল বের করেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই এলাকায় অন্য একটি মিছিলের নেতৃত্ব দেন বিএনপি নেতা লিটন খান, রতন ও নাজমুল হাসান। সকালে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে বিজয়নগর এলাকায় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাদ মো. পাপ্পা সিকদার এবং বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন শাহবাগ ও রমনা থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দীন অসীমের নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে নিউমার্কেট, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা এলাকায় মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীর নেতৃত্বে মিছিল বের করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন স্বেচ্ছাসেবক দল দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, নগর বিএনপি নেতা আব্দুল হাই পল্লব ও জাশেদুল আলম শ্যামলসহ অনেকে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের য্গ্মু আহ্বায়ক আনম সাইফুলের নেতৃত্বে মিছিল বের করেন শ্যামপুর ও কদমতলী থানা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিএনপির পক্ষে থেকে দাবি করা হয়, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী ও বংশাল এলাকার নেতাকর্মীরা গোপীবাগ থেকে মিছিল নিয়ে রাজধানী সুপার মার্কেট সংলগ্ন ফ্লাইওভারের প্রবেশমুখে অবস্থান নিলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন নগর বিএনপি নেতা মকবুল ইসলাম খান টিপু, আরিফুর রহমান নাদিম, হাজী মোহাম্মদ নাজিম, নাসরিন রশীদ পুতুল, আব্দুল কাদির, আজিজুল ইসলাম ও মামুন আহমেদ।
রাজধানীর বাড্ডায় বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে এ মিছিল হয়। এ সময় নেতাকর্মীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। দুপুরে মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে তেজগাঁও লিংক রোড সড়ক অবরোধ করেন যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীরা। এতে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দীন জুয়েলের নেতৃত্বে রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন থানার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে বনানী বাসস্ট্যান্ড থেকে মহাখালী আমতলা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের নেতৃত্বে মিছিলে সংগঠনের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, সদস্য মিজানুর রহমান রাজসহ আরও অনেকে অংশ নেন। সকালে মহাখালী, সাইনবোর্ড এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
অবরোধের সমর্থনে ঢাকায় মিছিল করেছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতারা। মঙ্গলবার সকালে খিলগাঁও এলাকায় অবরোধ সমর্থনে মিছিল করেন তারা। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানের নেতৃত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নাছির উদ্দীন নাছির, আরিফুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আরিফ, আব্দুস সাত্তার পিয়াস, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক হায়াত মাহমুদ জুয়েল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান নওশাদ ও সদস্য মো. শাহেদ হাসান। ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হুমায়ন কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহাগ ভূঁইয়া, ইফতেখার উদ্দিন ফয়সাল, কাজী ইকবাল হোসেন শিখর, আনোয়ার হোসেন বাপ্পি, আল আমিন, আব্দুর রাজীব ও সদস্য মনিরুজ্জামান টিটু এবং রাফাত জামান গাফ্ফার আহ্বায়ক, সবুজবাগ থানাসহ বিভিন্ন থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি রিয়াদ ইকবালের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-মাতুয়াইল বিশ্বরোড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে মিছিলটি পুলিশী বাধার মুখে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের এই মারমুখি আচরণে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সুমিত, শফিকুল ইসলাম বাবু ভূঁইয়া, সালেহ মোহাম্মদ আদনান, সহ সাধারণ সম্পাদক হায়াত মাহমুদ জুয়েল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান নওশাদ, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম মাহমুদ ও তাজ মাহমুদসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী।
জামায়াতে ইসলামী : অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল, সভা ও অবরোধ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর পৌনে ৭টায় গাবতলীতে অবরোধ কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে টেকনিক্যাল মোড় থেকে মিরপুর থানা আমীর আবদুল মান্নান ভূইয়াসহ ২জনকে আটক করে পুলিশ। অপরদিকে ৩ জন ছাত্রনেতার উপর যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গতকাল সারাদেশ থেকে শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উত্তরায় রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী মিরপুর অঞ্চলের উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিকের নেতৃত্বে আগারগাঁও তালতলা থেকে শুরু করে শেওড়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের নেতৃত্বে হাতিরঝিল-তেজগাঁও অঞ্চলের উদ্যোগে সকাল ৭.৪৫টা থেকে ৮.১০ পর্যন্ত তেজগাঁও-মহাখালী রেলপথ অবরোধ করেছে জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। তুরাগ থানার উদ্যোগে উত্তরা-১০ এলাকায় সড়ক পথ অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য ও শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মুহিবুল্লাহ। পশ্চিম থানা আমীর ডা. শফিউর রহমানের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর অঞ্চলের মিছিল ও সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধের সমর্থনে রূপনগর থানার উদ্যোগে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মিরপুর ১২ নং এর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। রাজধানী ঢাকার মহাখালী কাঁচাবাজার সংলগ্ন সড়কে জামায়াতে ইসলামী বৃহত্তর গুলশান থানার উদ্যেগে অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খানের নেতৃত্বে খিলগাঁও-স্টাফ কোয়ার্টার মহাসড়ক অবরোধ করে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালামের নেতৃতে গোপীবাগে রেলপথ অবরোধ করে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নানের নেতৃতে যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়ায় চিটাগং রোডে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
সমমনাদের বিক্ষোভ : সরকার বিরোধীদের ডাকা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমমনা দল ও জোটের নেতা-কর্মীরা। তারা সড়কে টায়ার জ্বালান এবং সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেন। কোথাও কোথাও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। রাজধানীর তোপখানা রোডে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাদের মিছিলটি প্রেস ক্লাবের সামনে এলে পুলিশের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়। পরে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীরা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। এতে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সফলভাবে সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে জনগণ। কিন্তু শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসতায় রূপ দিয়েছে সরকার। এটা করে কোনোভাবেই আন্দোলন দমন করা যাবে না। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের প্রতিরোধ করছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে দুর্বলতা ভাববেন না।
এদিকে প্রেস ক্লাব-পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ১২দলীয় জোট। বিক্ষোভ শেষে জোটের নেতারা বলেন, সরকারের নির্যাতন ও অনিয়মের বিরুদ্ধে যারাই প্রতিবাদ করেছেন, সমালোচনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই অত্যাচার ও মামলার খড়গ নেমে এসেছে। ১২দলীয় জোটের বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) রাশেদ প্রধান প্রমুখ।
বাংলামোটর থেকে মগবাজার পর্যন্ত এলাকায় সকাল ১০টার দিকে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। মিছিল শেষে গণঅধিকার সভাপতি নুরুল হক বলেন, অবরোধ সফল করার জন্য তারা রাজপথে থাকবেন। প্রয়োজনে জীবন দেবেন। বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে বাসে-গাড়িতে সরকার অগ্নিসংযোগ করছে বলে অভিযোগ করে নুরুল হক জনগণকে সতর্ক থেকে এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। গণঅধিকার পরিষদের মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, সদস্য আবু হানিফ, হানিফ খান, শাকিল উজ্জামানসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
অবরোধের কর্মসূচীর সমর্থনে প্রথম দিনে রাজধানীর রাজপথে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। দুপুর ২টায় পল্টন মোড় থেকে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের নেতৃত্বে মিছিলটি পুরানা পল্টন, হাউজ বিল্ডিং, বায়তুল মোকাররম, ক্রীড়া পরিষদ হয়ে দৈনিক বাংলা মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে শেষ হয়। এতে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ভোটারবিহীন শেখ হাসিনার সরকার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী বানচাল করেছে। তিনি বুধ ও বৃহস্পতিবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ, সড়কপথ ও নৌপথে অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে জনগণকে সাথে নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার প্রমুখ।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে ‘প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি’ পালন করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বিজয়নগর-পল্টন সড়কে এবি পার্টির প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি হয়। পুলিশের বাধার প্রতিবাদে মৌন মিছিল করেন দলটির নেতারা। পরে বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য তুলে ধরেন। এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। কিন্তু রাজপথে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সশস্ত্র মহড়া দেখে মনে হচ্ছে, অবরোধটা তাদের। শুধু তা-ই নয়, সরকার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পুলিশকে লাঠিয়াল হিসেবে ব্যবহার করছে। এর পরিণতি হবে মারাত্মক। তিনি সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
রাজধানীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগর পূর্ব এলডিপির সভাপতি মো. সোলাইমানের নেতৃত্বে এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলালসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ডক্টর আওরঙ্গজেব বেলাল বলেন, জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে এ অবরোধ পালন করছেন। দুই-একজন আওয়ামী লীগের দালাল ছাড়া কেউ রাস্তায় গাড়ি বের করেনি। আমাদের এ আন্দোলনে সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন রয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব। হাসিনা সরকারের পতন এখন সময়ের ব্যবধান মাত্র।
তালাবদ্ধ বিএনপি কার্যালয় : নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চারপাশে পুলিশী পাহারা রেখে ‘ক্রাইম সিন’ ব্যারিকেট তুলে নিয়েছে সিআইডি। কার্যালয়ের কলাসিবল গেইট টানা তিনদিন ধরে তালা দিয়ে বন্ধ রেখেছে। পুলিশের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে ‘ক্রাইস সিন’ স্টিকার তুলে নেয়া হয়েছে। তবে নয়াপল্টনের সড়কের প্রতিটি গলিতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাহারায় রয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দুই পাশে পুলিশ অস্ত্র হাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দিয়ে পথচারি চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে কার্যত কেন্দ্রীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে সাধারণ মানুষকে দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। কেউ অফিসের কাছে এসে দাঁড়ালে পুলিশ তাদের চলে যেতে তাগাদা দিচ্ছে। এছাড়া নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয় এলাকার শপিংমল ও দোকানপাটগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও কম।
তবে সকাল ৯টার দিকে অবরোধের সমর্থনে বিজয়নগর পানির ট্যাংকের কাছ থেকে পল্টনের মোড় পর্যন্ত ৩০/৪০ জনের মিছিল করে ছাত্রদল। তারা ‘ভোট চোর ভোট চোর, শেখ হাসিনা ভোট চোর’, এক দফা এক দাবি, শেখ হাসিনা কবে যাবি’ ইত্যাদি শ্লোগান দেয়। পুলিশের ধাওয়ায় পল্টন মোড় থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা চলে যায়। এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে ওলামা দলের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ মহিদ উদ্দিন বলেন, দুষ্কৃতকারীরা আবারও যেন কিছু না করতে পারে সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগের রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু গত ২৮ তারিখে এটি সহিংস হওয়ায় বিষয়টি আমাদের মাথায় আছে এবং সেভাবেই আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করছি।
একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবি : রাজধানী বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার রাতে ও গতকাল মঙ্গলবার একাধিক নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাইদুর রহমান মিন্টু জানান, সবুজবাগ থানা বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ভূইয়াকে তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রূপসী থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের ব্যক্তিগত সহকারী ফারুক উল ইসলাম সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। লালবাগ থানার ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির দপ্তর সম্পাদক রমজানুল ইসলাম টুটুল ও বংশাল থানাধীন ৩৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিদ্দিক বাজার ইউনিটের সহ সভাপতি মো. নাজিমুদ্দিনকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তার করেছে। রাজধানীর ডেমরা এলাকা থেকে বিএনপির প্রায় ৩০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেফতাররা হলেন- জবি শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল (৩৫), সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুজ্জামান সরকার সাইদী (২৯) ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসিবুল হাসান (৩১)। এছাড়া গ্রেফতার করা হয়েছে মিরপুর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দুলু ও তার দুই ছেলেসহ গাড়ীর চালককে। মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙ্গে তাদের ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ : মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে দেখা যায়নি। তবে টার্মিনালে বাসের টিকেট কাউন্টারগুলো খোলা ছিল। গাবতলী থেকে উত্তরবঙ্গের ২৬টি জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলায় প্রতিদিন কমপক্ষে ১২০০ বাস চলাচল করে বলে জানিয়েছে টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অবরোধের কারণে পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না পাওয়ায় দূরপাল্লার বাসগুলো ছাড়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাসের টিকেট বিক্রেতারা। সায়েদাবাদের অবস্থাও একই রকম বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এবং কর্মীরা। নৌ-পরিবহনের ক্ষেত্রেও কিছুটা স্থবিরতা লক্ষ্য করা গেছে। মঙ্গলবার সকালে সদরঘাটে অধিকাংশই লঞ্চই ছিল নোঙর করা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবরোধের প্রথমদিন সকালে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের অধিকাংশ লঞ্চই ঢাকা ছেড়ে যায়নি। যাত্রী না থাকায় লঞ্চ ছাড়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা। তবে ভোরের দিকে অল্প কয়েকটি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে সদরঘাট ছেড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
র্যাব-পুলিশের সতর্ক অবস্থান : ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং প্রবেশপথগুলোতে পুলিশের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে গুলশান চেকপোস্টে মোটর সাইকেল, গাড়ি এবং সাধারণ মানুষের ব্যাগ তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রধান সড়কগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় র্যাব ও পুলিশের বেশ কয়েকটি দলের টহল চোখে পড়েছে।
আ’লীগের অবস্থান-মিছিল: ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সরকারি দল আওয়ামী লীগ হাতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শান্তি মিছিল করেছে। মিছিলে নেতাকর্মীদের বিএনপি এবং হরতাল-অবরোধ বিরোধী শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গাবতলীতে শান্তি মিছিল করেছে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা। এছাড়া রাজধানীর কিছু এলাকায় তাদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের ‘হত্যা’, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিনদিনের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আজ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আরও দুই দিন দেশব্যাপী সর্বাত্মক এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।