বিএনপির কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক শিরিনসহ বরিশালে ১৫ জন গ্রেপ্তার
বরিশালে অবরোধ পিকেটিংয়ের চেষ্টা করলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিকসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (০১ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে নগরীর সিএন্ডবি সড়কে পিকেটংয়ের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল নগরীর সিএন্ডবি রোডে যানবাহন চলাচলে বাঁধাগ্রস্থ করার চেস্টা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস অক্তার জাহান শিরিন, দক্ষিন জেলা আহবায়ক আবুল হোসেন, মহানগর আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলী হায়দার বাবুল সহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃকতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মুসফিকুল হাসান মাসুম বলেন, অবরোধ সফল করতে দক্ষিন জেলা বিএনপি ও মহানগর বিএনপি সিএন্ডবি সড়কে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলা বাহিনী সিএন্ডবি ১নং পুল থেকে তাদের ঘিরে ফেলেন। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, দক্ষিন জেলার আহবায়ক আবুল হোসেন, যুবদল নেতা রেজাউর রহমান কিরন ও সাকলাইন মোস্তাককে।
মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত জাহিদুর হমান রিপন জানান, মহানগর বিএনপি সিএন্ডবি রোডের তাওয়া রেস্তোরার সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলী হায়দার বাবুল, ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা শেখ সাব্বির, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক হোসেন আনিচ, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ফেরদৌস, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সামশুল আলম মন্টু, সেচ্ছাসেবক দল নেতা ইকু, শ্রমিকদল নেতা মোঃ আসলাম, অ্যাঞ্জেল সহ কমপক্ষে ১১জনকে আটক করা হয়েছে। এই সংখা আরও বাড়তে পারে বলে জানান বিএনপি নেতা রিপন। এদিকে বিএনপি ও জামায়াতের অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে দুরপাল্লার বাস চলাচল করেনি। অন্যান্য সব স্বাভাবিক রয়েছে।