‘নির্বাচন সময়মতোই হবে, মন্ত্রিসভা ছোট হবে না’
বিএনপি দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সময়মতোই হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কে চোখ রাঙালো, আর কে বাঁকালো, আমরা ওটার পরোয়া করি না। অনেক সংগ্রাম করেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি।
মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে বেলজিয়াম সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
সরকারের উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত হতে পারে এ কারণে নির্বাচনের সময় মন্ত্রিসভার আকার ছোট করা হবে না বলেও জানান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। সহিংসতা করে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থামাতে পারবে না। আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আকার ছোট করলে দেখা যায়-অনেক মন্ত্রণালয়ের কাজ হয় না। কাজগুলো বাধাগ্রস্ত হয়ে যায়। ওই জন্যই বলেছি, আমাদের যেভাবে আছে ওইভাবেই চলমান থাকবে। সরকার রুটিন কাজ করবে।’
‘আকার-বিকার যেটা হবে, তখন দেখা যাবে’ বলেও মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।
ওই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যারা খুন করার পরও বলে, ডায়ালগ করতে হবে। কার সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে? ট্রাম্প সাহেবের সঙ্গে কি বাইডেন ডায়ালগ করতেছে? যেদিন ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেন ডায়ালগ করবেন, সেদিন আমি করব।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কে হবে, সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। আমরা যেভাবে চলার…অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলাপ করেছি, সংসদীয় গণতন্ত্র যেভাবে আছে সেভাবে চলবে। আমরা যারা থাকবো, নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে আমরা রুটিনওয়ার্ক পালন করবো। দৈনন্দিন কাজ করবো যাতে সরকার অচল হয়ে না যায়। যে প্রার্থী হবে সে তো আর সরকারি কোনও সুযোগ পাবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনের সময় ভারত, কানাডা বা ইংল্যান্ডসহ সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে হয়, বাংলাদেশেও সেটা হবে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, যখনই তফসিল হবে এবং নমিনেশন সাবমিট হবে, তখন থেকে আর মন্ত্রীরা সুযোগ-সুবিধা বা পতাকা কোনও সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে না। একজন প্রার্থী হিসেবে তাকে ভোট চাইতে হবে। ২০১৮ সালে সেভাবে হয়েছিল। হ্যা, ২০১৪ সালে আমি অন্য দল থেকে কিছু মন্ত্রী নিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে সেই পদ্ধতি করিনি। যেটা অন্য দেশে হয় এবারও সেই পদ্ধতি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অসুস্থ, তিনি বাইরে আছেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তফসিলের পর যে সময়টা দেওয়া হয়, মনোনয়নপত্র জমার সময় দেওয়া হয়। বাছাই হয়। প্রত্যাহার হয়। প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো মন্ত্রী কোনো সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে পারবে না। এটাই নিয়ম। কিন্তু সরকার থেমে থাকবে না।
সরকারি দৈনন্দিন যে কাজ রুটিন ওয়ার্ক যেটা বলে, সেগুলো চলবে। নইলে তো স্থবির হয়ে যাবে, দেশ তো চলবে না।’
নিজে প্রার্থী হওয়ায় গণভবনে বসে আর ভিডিও কনফারেন্স করবেন না বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি আলাদা একটা অফিস নিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
বিএনপি-জামায়েতের সহিংসতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে যেমন ইসরাইলি বাহিনী হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিএনপিও সেভাবে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি হামলার সঙ্গে তাদের কোনো তফাত দেখছি না।