Home দেশ-বিদেশের যু্দ্ধ অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরাইল আঘাত হানলেই হচ্ছে মৃত্যু
অক্টোবর ২২, ২০২৩

অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরাইল আঘাত হানলেই হচ্ছে মৃত্যু

মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে ২০টি ট্রাক। এ নিয়ে সেখানকার মানুষদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। তাদের এসব নির্বিচার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গাজার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের এক চিকিৎসক কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজাবাসীর বিরুদ্ধে এবার অপ্রচলিত অস্ত্র ব্যবহার করছে। আর এ অস্ত্র যার উপরই আঘাত হানছে, নিশ্চিতভাবেই তার মৃত্যু হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ইসরাইলিদের বোমা হামলার আঘাতের পর যেসব মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, তাদের মধ্যে চিকিৎসকরা বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখতে পেয়েছেন এবং আহতদের প্রায় সবাই মৃত্যুবরণ করছেন।

মৃত্যুর হার শতকরা ১০০ শতাংশ। আল জাজিরাকে এই চিকিৎসক আরও  জানিয়েছেন, এবার যেসব মানুষ আহত হচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রথমবারের মতো অন্যরকম আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাচ্ছেন তারা। এছাড়া আহতদের শরীরে চতুর্থ ডিগ্রীর পোড়া (দ্বগ্ধ) দেখা যাচ্ছে। যেটি একটি অস্বাভাবিক বিষয়। এদিকে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এরপরই গাজাকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা শুরু করে ইসরাইল। যা বিরতিহীনভাবে দুই সপ্তাহ ধরে চলছে। গাজায় হামলা চালানোর পাশাপাশি সেখানে সর্বাত্মক অবরোধও আরোপ করেছে ইসরাইল। এতে গাজার মানুষ মানবিক বিপর্যয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন। তবে দীর্ঘ দুই সপ্তাহ পর মিসরের রাফাহ ক্রসিং দিয়ে শনিবার (২১ অক্টোবর) চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী ২০টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।

২২ সাংবাদিক, ৬৪ স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর ৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকদের উপরও। এছাড়া যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাদ যাননি স্বাস্থ্যকর্মীরাও। সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) জানিয়েছে, হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত ২২ সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ১৮ জন ফিলিস্তিনি, ৩ জন ইসরাইলি এবং এবং একজন লেবাননের।

এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আহত হয়েছেন আরও ৮ সাংবাদিক। নিখোঁজ বা আটক হয়েছেন তিনজন। সিপিজে জানিয়েছে, গাজায় যেসব সাংবাদিক কাজ করছেন তারা সবচেয়ে দুঃসময় কাটাচ্ছেন। কারণ তাদের ইসরাইলের বিমান হামলা, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থায় সংবাদ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর ২২ সাংবাদিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও; এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ সিপিজে জানিয়েছে, তারা আরও কয়েকজন সাংবাদিককে হত্যা, নিখোঁজ ও আটক করার অভিযোগ তদন্ত করছে। অপরদিকে যুদ্ধের মধ্যে সাধারণ মানুষকে সহায়তা করতে গিয়ে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ৬৪ স্বাস্থ্যকর্মী। গতকাল শনিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাদের তথ্যানুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বিমান হামলা শুরুর পর গাজায় ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা ৬৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *