হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ নয়, ভোট দিবে পুলিশ: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হলে জনগণ ভোট দিবে না, ভোট দিবে পুলিশ। পুলিশ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিবে শেখ হাসিনাকে জেতানোর জন্য, আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য ভোটাররা ভোট দিবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পুলিশের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। সামনে আবারো ওই ধরনের নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে। আর সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে আছেন ওবায়দুল কাদের সাহেবরা।
রিজভী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমরা তলে তলে কোনো কাজে বিশ্বাস করি না। কিন্তু সরকার তলে তলে কাজে বিশ্বাস করে তাদের দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন। ওনারাই বিভিন্ন দেশের নাম উল্লেখ করে বলেন তারা ঠিক হয়ে গেছে। আমরা জনগণের শক্তিতেই এই সরকারকে বাধ্য করবো পদত্যাগ করতে এবং নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার দেয়ার জন্য।
রিজভী বলেন, ‘জবরদস্তি করে আবারো নির্বাচন করবে এটা আর সম্ভব নয়, তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বুঝতে পেরে ভিসা রেডি করে রেখেছেন। যেকোনো প্রকারে তারা আবারো নীলনকশার পুলিশি নির্বাচন করতে চাইছে, সেটা এবার আর সম্ভব হবে না।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘পুলিশি নির্বাচন এদেশে আর হবে না। হতে দেবে না এদেশের জনগণ। ইতোমধ্যে আমরা শুনতে পাচ্ছি তাদের (আওয়ামী লীগের) অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এবং ওবায়দুল কাদের সাহেবসহ আরো অনেকে ইতোমধ্যে পাসপোর্টের ভিসা করে রেখেছেন।
সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলার বিবরণ তুলে ধরে রিজভী বলেন,’ এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মোট গ্রেফতার ৩০০ জনের অধিক নেতাকর্মী।
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের গুলশানস্থ নিজ বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি চালায়। তাকে না পেয়ে তার বাড়ির লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।