Home বিনোদন সুবিধাবাদীদের ঝেড়ে ফেললেই জীবন সুন্দর: পরীমণি
অক্টোবর ১৭, ২০২৩

সুবিধাবাদীদের ঝেড়ে ফেললেই জীবন সুন্দর: পরীমণি

প্রচণ্ড ঠান্ডা আর জ্বর নিয়ে পাঁচদিন ধরে হাসপাতালে চিত্রনায়িকা পরীমণি। সেখানে তার সঙ্গে রয়েছেন ছেলে রাজ্য। মায়ের সঙ্গে খুনসুটি, খেলা করা, মায়ের সেবা করা, অতঃপর মায়ের বুকে শুয়ে শান্তির ঘুম দেওয়া। এ যেন তার কাজ। মা-ছেলের এই পবিত্র ভালোবাসা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন পরীমণি।

মধ্যরাতে মায়ের বুকে সন্তান রাজ্যের ঘুমের স্থিরচিত্র ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। তারপর ভক্তদের কাছে জানতে চেয়ে লিখেছেন, ‘মা ছেলের এই ছবি দুইটা কেমন একটা শান্তি শান্তি দেয় না চোখে?’

এই ছবি ভক্তদের চোখে প্রশান্তি দিলেও ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন হাসপাতালে শুয়ে তার উপলদ্ধির কথা। তিনি লিখেন, ‘মাঝে মধ্যে ছোট খাটো অসুখ বা বিপদ না আসলে জীবনের আসল শুভাকাঙ্ক্ষী বা কাছের মানুষ চিনতে পারবেন না। একটা সময় অনেকের মতো আমারও মনে হইতো কারোর কাছে আমার কোনো এক্সপেক্টেশন নাই বা সেটা রাখার দরকারও নাই। ‘‘এক্সপেক্টেশন যত কম জীবন তত সুন্দর’’ বিশ্বাস করেন এই কথাটা একটা বেহুদা কথা। আপনার আত্মীয় স্বজনদের আপনি নিশ্চয়ই আপনার খারাপ সময়ে পাশে চাইবেন। অন্তত কেমন আছো জিজ্ঞেস করুক এতটুকুই অনেক কিছু মিন করে কখনো কখনো জীবনে।’ কেনো তিনি এই কথা লিখেছেন তা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। নেটনাগরিকেদের ধারনা এই সময় কাছের মানুষদের কাছে না পাওয়ার বেদনা তিনি তুলে ধরেছেন।

তবে যারা পাশে ছিল তাদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি পরীমণি। তিনি বলেন, ‘আমি আমার স্টাফদের যত্ন,ভালোবাসা,আন্তরিকতার কাছে ঋনী। এরাই আমার পরিবার।’ পাশাপাশি নিজের কথাও বললেন। তুলে ধরলেন তিনি নিজে কেমন। তিনি বলেন, ‘আমি মোটেও সেলফিস ধরনের মানুষ না। তবে গত দুই এক বছর যাবত আমি ‘‘যে যেমন আমি তেমন’’ লোক হওয়ার চেষ্টা করতেছি। এই চেষ্টায় এবারের দৌড়টা বেশ লম্বাই হইলো বলা যায়। জীবনে আজাইরা, ফাও এবং সুবিধাবাদীদের যত ঝেড়ে ফেলা যায় জীবন কেবল মাত্র তখনই সুন্দর।’

‘সুস্থ থাকার মতো বড় নেয়ামত আর কিছু নাই।’ সবার মতো এই কথাটা সত্য বলে মানেন চিত্রনায়িকা পরীমণিও। হাসপাতালের বেডে শুয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ কথা জানান তিনি। দুই বছর পর শুটিংয়ে ফেরা সুখকর হয়নি এই অভিনেত্রীর। টানা শুটিংয়ের কথা থাকলেও অসুস্থতার জন্য শেষ করতে পারেননি শুটিংয়ের শিডিউল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *