বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে: শেখ পরশ
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে বিএনপি-জামাতের হত্যা, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যেবঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন-শেখ ফজলে শামস্ পরশ-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক-সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ; মির্জা আজম এমপি-সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সঞ্চালনা করেন- আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল- সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা দখল করেছিল, বিএনপি-জামাত আমাদের প্রায় ২৫ হাজার নেতা-কর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের পঙ্গু করে ফেলেছিল এবং বহু নেতা-কর্মীদের জেলে পুড়ে ছিল। বিএনপি যদি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে যায় ওরা এবার যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপর চড়াও হওয়ার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশের মানুষের যে দীর্ঘ সংগ্রাম, সেটা ভেস্তে যাবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন বাঁনচালের যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে যুবসমাজ। আর যদি কোনো অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর স্বপ্ন দেখে থাকেন, সে স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু না। আর শেখ হাসিনার যুবলীগ প্রতিযোগিতা ভয় পায় না, শর্টকাট ক্ষমতার পথ শেখ হাসিনা খুঁজে নাই কোন দিন। একটা প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমেই জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আসবে। আমরা যদি স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করি।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বিএনপি নেতা রিজভী অভিযোগ করেছেন যে, খালেদা জিয়াকে সরকার বিষ দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ যে বাসায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে, সেটা তারই বাসা। তার চিকিৎসার নেতৃত্বে রয়েছেন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা এবং ড্যাবের সভাপতি ডা. জাহিদ। তাদের পরামর্শেই চিকিৎসা চলছে। এখন আমাদের সাবধান হতে হবে। কেননা খালেদা জিয়াকে বিষক্রিয়ার অভিযোগ এনে বিএনপি কোনো ছক কষছে কিনা। তারা নিজেরাই খালেদা জিয়াকে হত্যা করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিনা- এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি বিএনপির নেতারা কাকে প্রধানমন্ত্রী বানাবেন, তা তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না। খালেদা জিয়া তো মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অন্যদিকে, তারেক জিয়া রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে আছেন। এই ধরনের মানুষরা নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। আজকে যারা বিএনপি করেন, তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে কাজ করছেন।
সঞ্চালকের বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য-সন্ত্রাস, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশকে ধ্বংস করার চক্রান্ত নিয়ে বিএনপি-জামাত মাঠে নেমেছেন। বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করার জন্য যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সর্বদা প্রস্তুত থাকবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. নবী নেওয়াজ, মো. এনামুল হক খান, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, মো. রফিকুল আরম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।