দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জনের মৃত্যু
দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন আটজন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় মৃত্যু হয়েছে আরও সাতজনের।
এ নিয়ে চলতি বছরে দেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ৭৯। এর মধ্যে ৬৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে। বাকি ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে।
এত দিন ঢাকার বাইরে মৃত্যু কম ছিল। এখন ঢাকার বাইরে মৃত্যু বেড়েছে। গত আট দিনে দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৯০ জন, এর মধ্যে ৪৬ জনই ঢাকার বাইরের।
ডেঙ্গুতে নির্দিষ্ট কোনো বছরে এত মৃত্যু এর আগে দেশে কখনো হয়নি। একইভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত করে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ২ হাজার ১৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৫ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৫৭৩ জন। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৮২২।
রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যু এখনো উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। সংক্রমণ বা মৃত্যু কমানোর জন্য যা যা করার প্রয়োজন ছিল, তার কোনো কিছুই করা হয়নি। বৃষ্টির মৌসুম এখনো চলছে। ফলে আরও বেশ কিছুদিন ডেঙ্গুর এমন পরিস্থিতি চলার আশঙ্কা রয়েছে।
সাধারণত অক্টোবর মাসের দিকে এসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকে। গত বছরের অভিজ্ঞতা থেকে রোগতত্ত্ববিদেরা বলছেন, চলতি অক্টোবর মাসেও পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। কারণ, গত বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল অক্টোবর মাসে। আর চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথম সাত দিনে সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক গড়ে দুই হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ বছরের জুলাই মাস থেকেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
গত তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রতি মাসে আক্রান্তের ও মৃত্যুর সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে বেশি। আর চলতি মাসের প্রথম ছয় দিনের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। বিশেষ করে ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।