জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন
৬অক্টোবর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান।
এ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, জন্ম ও মৃত্যু আইন, ২০০৪ অনুযায়ী শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন এবং কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধনের কথা বলা রয়েছে। কোর্টে জন্ম ও মৃত প্রমাণের জন্য বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক পেনশন, লাইভ ইন্স্যুরেন্সের দাবি, জমি-জমার নামজারির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। জন্মনিবন্ধন যেমন প্রয়োজন তেমনি মৃত্যু নিবন্ধনও প্রয়োজন। এটা প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন এটা যেন কেবিনেট থেকে একটি উদ্যোগ নিয়ে কো-অর্ডিনেশন করানো হয়।
আলোচনা সভার পরপরেই ২০২৩সালে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ৬জনকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এদিন জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হন মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী, জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ তবলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভুঁইয়া, জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সচিব হিসেবে তিনটহরী ইউনিয়ন পরিষদের সুমন মিয়া, শ্রেষ্ঠ গ্রাম পুলিশ তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার মো: আমিনুল ইসলাম, মাইসছড়ি ইউনিয়নের মহল্লাদার মো: হাবিবুর রহমান, শ্রেষ্ঠ মহল্লাদার তিনতহরী ইউনিয়নের মো: নোয়াবুল হোসেন নবী এর মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
এছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের তপন বিকাশ ত্রিপুরা ও একই ইউনিয়নের শ্রেষ্ঠ সচিব হিসেবে বেগীন চাকমাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা, খাগড়াছড়ি জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. রতন খীসা, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, খাগড়াছড়ি পৌর সভার প্যানেল মেয়র মো: শাহ আলম, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাঈমা ইসলাম, পৌর সভার নির্বাহী অফিসার পারভীন আক্তার খন্দকার, গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উল্লাস ত্রিপুরাসহ অন্যান্য ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।