Home সারাদেশ পাহাড়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা একমাত্র শেখ হাসিনাই সমাধান করেছিলেন
অক্টোবর ২, ২০২৩

পাহাড়ের দীর্ঘদিনের সমস্যা একমাত্র শেখ হাসিনাই সমাধান করেছিলেন

তাজু কান্তি দে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি:
ছবি- দৈনিক খাগড়াছড়ি।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় শান্তিচুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে দুই যুগের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে একসাথে একত্রে বসার সুযোগ ছিল না, কথা বলার সুযোগ ছিল না। মন খুলে কথা বলতে পারতাম না। এমন দিন গেছে, পূর্ণিমার চাঁদ দেখার আমাদের সুযোগ ছিল না। সন্দেহ, দ্বিধা-দ্বন্ধ ও অবিশ্বাস ছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে সমাধান হয়েছে। পার্বত্য চুক্তির পর পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

আজ যারা মানবতার কথা বলছে, মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে তাদের কী ভূমিকা ছিল সেই প্রশ্নও রাখেন তিনি। তিনি বলেন, শপথ নিতে হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ দেশের জন্য বোঝা হবে না, আমরা হবো সম্পদ।

রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউএনডিপি প্রকল্পের আওতায় জিওবি অর্থায়নে চার কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতি ও বিভিন্ন প্রকল্পের দেড় কোটি টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহতাশিম হায়দার চৌধুরী, ডিজিএফআইয়ের ডেট কমান্ডার এএসএম বদিউল আলম, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়াও ৩৯১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে প্রাণী সম্পদ, মৎস্য, মিশ্র ফল চাষাবাদ, তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি টাকা ও আপদকালীন ত্রাণ হিসেবে ১৪৬ জনকে ৫৭ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *