বলা হতো ‘গ্রেগরি পেক অব ইন্ডিয়া’, কালো স্যুট পরা বারণ ছিল তাঁর!
বলিউড নামের যে চলচ্চিত্রশিল্প আজ দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে, সেই বলিউডের উজ্জ্বলতম এক ‘আইকন’ তিনি; দেব আনন্দ। অভিনেতা তো বটেই, তাঁকে এমনকি পরিচয় করিয়ে দেওয়া যেত পরিচালক ও প্রযোজক হিসেবেও। তিন শাখার সব কটিতেই তাঁর সদম্ভ বিচরণ। আজ তাঁর জন্মশতবার্ষিকী।
পূর্বপুরুষদের কেউ চলচ্চিত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বাবা, বড় ভাই ছিলেন জাঁদরেল আইনজীবী। দেব আনন্দ নিজেও পড়াশোনা করেছেন ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে। কিন্তু কলেজে পড়ার সময় হঠাৎই সিনেমার ভূত মাথায় চাপে। সেই সময় কিংবদন্তি অভিনেতা অশোক কুমারের একটি ছবি দেখে নায়ক হওয়ার ইচ্ছে হয় তাঁর। তখন অবশ্য তিনি দেব আনন্দ নন। লাহোর কলেজের কলা বিভাগের ২০ বছরের ছাত্রটিকে ‘ধরম’ বলে ডাকেন বন্ধুরা। পুরো নাম ধরমদেব পিশোরিমল আনন্দ।
ব্রিটিশ আমলের কথাই বলছি। জন্ম ১৯২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের শাকরগড়ে। এখন অবশ্য সেটি পাকিস্তানে। বাবা পিশোরিমল ছিলেন গুরদাসপুর জেলা আদালতের আইনজীবী। তাঁর চার সন্তানের মধ্যে তৃতীয় দেব। বাকি তিন ভাই মনমোহন, চেতন ও বিজয় আনন্দ। আনন্দ পরিবারে প্রথম সিনেমা বা থিয়েটারে আগ্রহী হন দেব আনন্দের বড় ভাই চেতন আনন্দ। চেতনের স্বপ্ন ভবিষ্যতে সিনেমা প্রযোজক ও পরিচালক হবেন। সেই স্বপ্ন নিয়ে চল্লিশ দশকের শুরুতে চেতন আনন্দ প্রথম গুরদাসপুর ছেড়ে বোম্বে পাড়ি দেন। ভাইয়ের উৎসাহ পেয়ে দেব আনন্দও বোম্বে আসেন। এরপর পরিচালকের দরজায় গিয়ে নিজেকে পরিচিত করানো, ছবিতে কাজের সুযোগ পেতে লড়াইয়ে নামেন তিনি।
সচ্ছল পরিবারের সন্তান। তবে দূরদেশ মুম্বাইয়ে (তৎকালীন বোম্বে) গিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে চওলের ঘুপচি ঘরে থাকতেন দেব। কিন্তু শুধু থাকলে তো পেট ভরবে না। বোম্বেতে থাকার খরচের জন্যও উপার্জন দরকার। ফিল্মে কাজ পাওয়ার আগে তাই ছোটখাটো চাকরি করতে শুরু করেন দেব আনন্দ। প্রথমে মিলিটারি পোস্টাল সার্ভিসে মাসে ৪৫ টাকা বেতনের চাকরি পান। বড় ভাই চেতন আনন্দের সঙ্গে সেই সময়ই ভারতীয় গণনাট্য সংঘে যোগ দিয়েছিলেন দেবা আনন্দ।থিয়েটার করতে গিয়েই দেখা বাবু রাও পাইয়ের সঙ্গে। দেব তাঁর কাছে সিনেমার কাজের সুযোগ চেয়েছিলেন। শোনা যায়, দেব আনন্দের অভিনয়ের থেকেও বেশি তাঁর হাসি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন বাবু রাও। তিনি বলেছিলেন, ওই হাসি দেখতেই দর্শক হলে আসবে। মাসে ৪০০ টাকার চুক্তিতে তাঁকে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেন বাবু রাও। প্রথম ছবির ডাক আসে ১৯৪৬ সালে। ‘হাম এক হ্যায়’ নামের সিনেমাটি।পুনেতে যখন শুটিং চলছিল, তখন গুরু দত্তের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় তাঁর। চল্লিশের দশকের শুরুতে সুরাইয়ার বিপরীতে একটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পান দেবা আনন্দ। সুরাইয়া তখন প্রতিষ্ঠিত নায়িকা।
শুটিং চলাকালেই তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব, প্রেম হয়। সে গল্প লেখার অন্য অংশে করছি। সে সময় ‘বিদ্যা’, ‘জিৎ’, ‘শায়ের’, ‘আফসার’, ‘নিলি’, ‘দো সিতারে’ ও ‘সনম’ নামের ছবি কটি করেন তাঁরা।
প্রতিটি সিনেমা বক্স অফিস মাতিয়ে দিয়েছিল। সাতটি সুপারহিট ছবি উপহার দেওয়ার পর তাই এই জুটি আর কোনো ছবি করেননি। অশোক কুমার এ সময় বোম্বে টকিজের ছবিতে দেবা আনন্দের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেন। ১৯৪৮ সালে জিদ্দি ছবিতে দেবা আনন্দের সঙ্গে কাজ করেন কামিনী কৌশল। ‘জিদ্দি’র অসাধারণ সাফল্যের পর দেবানন্দ নিজেই ছবি প্রযোজনায় নেমে পড়েন।
এমনিতেই কেতাদুরস্ত, সুপুরুষ। তার ওপর কালো পোশাক পরলে নাকি তাঁকে দুর্দান্ত দেখাত। উজ্জ্বল গায়ের রং আরও ফুটত কালো রঙের বৈপরীত্যে। ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী ভক্ত তাঁকে একনজর দেখার জন্য বাড়ির ছাদ অথবা বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন, এমন নজিরও আছে! শোনা যায়, তাঁর ‘অতিরিক্ত’ জনপ্রিয়তা দেখে হস্তক্ষেপ করেন আদালতও। বোম্বের আদালত তাঁর কালো পোশাক পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বলা হয় আর যা-ই পরুন তিনি যেন কালো পোশাক পরে রাস্তায় না নামেন। অবশ্য আদালতের আদেশের বিষয়ে কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে দ্বিমতও রয়েছে। মুম্বাইয়ের বেশির ভাগ সিনিয়র বিনোদন সাংবাদিকদের মতে, এটা নিছক মজাচ্ছলেই বলা। তবে এটা ঠিক, বাহ্যিক সৌন্দর্য আর স্মার্টনেসের কারণে তাঁকে বলা হতো ‘গ্রেগরি পেক অব ইন্ডিয়া’।
অবশ্য এমনটাও শোনা যায়, প্রেমিকা সুরাইয়ার মন জয় করতেই তিনি গ্রেগরি পেককে অনুসরণ করতেন। কারণ, গ্রেগরি পেক ছিলেন সুরাইয়ার প্রিয় অভিনেতা।
দেব আনন্দ জাগতিক ভ্রমণ শেষ করেছেন এক যুগ হয়ে যাবে। ২০১১ সালের ৩ ডিসেম্বর, ৮৮ বছর বয়সে লন্ডনে শেষবার নিশ্বাস নেন। আজও বলিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেতা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন তাঁর রোমান্টিক ছবি এবং গানের জন্য। তবে তিনি যে কেবল পর্দায় রোমান্টিক ছিলেন, তেমনটা কিন্তু একদমই নয়। তিনি বাস্তবেও একই রকম প্রেমিক পুরুষ ছিলেন। সব সময় ভালোবাসায় মজে থেকেছেন বলেই ২০০৮ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু সব সময় ভালোবাসায় থেকেছেন, ভালোবেসেছেন মানে এটা নয় যে তিনি সেই নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তিনি তাঁদের ভালোবেসেছেন অন্তর দিয়ে। এমনটাই সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি। শোনা যায় দেব আনন্দ তাঁর জীবনে তিনজনকে ভীষণ ভালোবেসেছিলেন। কারা তাঁরা? সুরাইয়া, তাঁর স্ত্রী কল্পনা কার্তিক এবং জিনাত আমান।
‘বিদ্যা’ ছবির ‘কিনারে কিনারে চলে যায়ে’ গানটির শুটিংয়ের সময় সুরাইয়া নৌকা থেকে পা পিছলে পড়ে যান। তখন দেব আনন্দ সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ঝাঁপিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। সেদিন থেকে সুরাইয়ার সহশিল্পী দেবের প্রতি দুর্বল। এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এমনটি বলেছিলেন সুরাইয়া। একসময় গভীর প্রেম হয় দুজনের। তবে তাঁদের এই সম্পর্ক অভিনেত্রীর দাদি মেনে নেননি তাঁদের ধর্মের জন্য। যদিও তারপরও তাঁরা একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, এমনকি পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা পর্যন্ত করেছিলেন।
কিন্তু সেই পর্যন্ত তাঁদের হাল ছাড়তেই হয়। এই সম্পর্ক ভাঙার পর আর বিয়ে করেননি সুরাইয়া। আজীবন ‘সিঙ্গেল’ থেকে যান তিনি। দেব আনন্দও ভুলতে পারেননি। জীবনে যতবার সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, বেশির ভাগ সময়েই মুখোমুখি হয়েছেন সুরাইয়া প্রসঙ্গের। কোনোবারই প্রশ্ন এড়িয়ে যাননি।
‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ ছবিতে কাজ করতে গিয়ে সহ–অভিনেত্রী জিনাত আমানের প্রেমে পড়েন দেব আনন্দ। তিনি তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন, না চাইতেও তাঁরা প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন একে অন্যের সঙ্গে। একটা সময় তিনি অনুভব করেন, তিনি জিনাত আমানকে ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছেন ও তাঁকে সেটা বলতে চান। তবে তিনি কখনোই জিনাতকে প্রেমের প্রস্তাব দেননি। কারণ, তিনি জানতে পেরেছিলেন নায়িকা রাজ কাপুরের গুণে তখন মুগ্ধ। নিজের আত্মজীবনী ‘রোমান্সিং উইথ লাইফ’-এ দেব আনন্দ দাবি করেছেন, রাজ কাপুরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন জিনাত। দেব আনন্দ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, জিনাতের সঙ্গে একটি সাক্ষাতের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ওই দিনই অনস্ক্রিন বোনকে নিজের মনের কথা জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু বাদ সাধেন রাজ কাপুর। নিজের পার্টিতে জিনাতের কাঁধে হাত দিয়ে ‘ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন রাজ কাপুর। তিনি আরও লেখেন, ‘রাজের আলিঙ্গন ও (জিনাত) যেমনভাবে গ্রহণ করল, তা দেখে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চেয়ে বেশিই মনে হয়।’ এখানেই শেষ নয়, মত্ত অবস্থায় নাকি রাজ কাপুর অভিনেত্রী জিনাতকে বলেন, ‘তুমি কেন নিজের দেওয়া কথা রাখলে না। আমি তোমাকে সাদা শাড়িতেই সব সময় দেখতে চাই।’ এমনটা শুনে নাকি ‘লজ্জায় লাল’ হয়েছিলেন জিনাত। এসব দেখেই মন ভাঙে দেব আনন্দের। পার্টি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। তবে ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’-এর রূপা এসব কথা অস্বীকার করেন। তাঁর দাবি, পরিচালক-অভিনেতা রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক কোনো দিন ছিল না।
চার্লি চ্যাপলিনের ভক্তদেব
দেব আনন্দ চার্লি চ্যাপলিনের বিশাল বড় ভক্ত ছিলেন। একবার তিনি এই কালজয়ী কমেডিয়ানের মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেখানে গিয়ে তিনি এমন কিছু করেন, যা চার্লি চ্যাপলিনকেও হতবাক করে দেয়। ১৯৫৪ সালে সুইজারল্যান্ডের মন্ট্রিক্সে তাঁদের দেখা হয়।
দেব আনন্দ বলিউডের একাধিক তাবড় তাবড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করেছেন। দিলীপ কুমার, অশোক কুমারসহ একাধিক অভিনেতার সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন। কিন্তু কখনোই অমিতাভের সঙ্গে কাজ করেননি। হয়তো এ নিয়ে অমিতাভও আফসোস করেন!
দেব আনন্দ একটি দল তৈরি করেন
১৯৭৭ সালে দেব আনন্দ একটি দল তৈরি করেন ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে। নাম দেন ভারতের জাতীয় পার্টি, কিন্তু পরবর্তীকালে সেটা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়।
১৯৫০-এর দশকের দিকে চেতনের সঙ্গে নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘নবকেতন ফিল্মস’ চালু করেন দেব আনন্দ। একের পর এক হিট ছবিও দিতে থাকেন। দেব আনন্দ বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৪-এ। তাঁদের প্রযোজনা সংস্থা ‘নবকেতন ফিল্মস’-এর কর্মী মোনা সিংয়ে (কল্পনা কার্তিক) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। দুটি সন্তানও আছে তাঁদের—সুনীল ও দেবিনা। দেব আনন্দ সম্পর্কে কল্পনা কার্তিক একবার ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সে ভীষণ ভালো বাবা এবং স্বামী ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম, এটা একদম ভুল। দেব আজও আমার মনে সমানভাবে রয়ে গিয়েছে।’
দেব আনন্দ ও কল্পনা কার্তিক একসঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করেছিলেন। তাঁদের প্রথম ছবি ‘বাজি’ ১৯৫১ সালে মুক্তি পায়। পরের বছরই তাঁদের ‘আঁধিয়া’ ছবিতে দেখা যায়। চেতন আনন্দ এ ছবি পরিচালনা করেছিলেন। ভেনিস, মস্কো ও পেকিং চলচ্চিত্র উৎসবে এ ছবি দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল সেই সময়। এরপর ১৯৫৪ সালে মুক্তি পায় ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’। এ ছবির সেটেই মধ্যরাতে বিয়ে করেছিলেন দেব আনন্দ ও কল্পনা কার্তিক। স্মৃতিচারণা করে কল্পনা কার্তিক বলেন, ‘আমি শিমলার সেন্ট বিডস কলেজের ছাত্রী ছিলাম। ওখানে পড়াকালে একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নাম দিই। সেখানেই চেতন আনন্দ আমায় দেখেন এবং এই ফিল্মের জগতের সঙ্গে পরিচয় করান। গুরু দত্তের হাত ধরে আমি প্রথম সুযোগ পাই “বাজি” ছবিতে। এখানেই আমি দেব আনন্দের বিপরীতে কাজ করি প্রথমবার। আমরা একসঙ্গে পাঁচটি ছবিতে কাজ করেছিলাম। তার জন্মশতবার্ষিকীতে আমার মনে হচ্ছে, আমি ওকে ফান্টুস বলে ডাকি (“ট্যাক্সি ড্রাইভার”–এ বলেছিলেন); আমি যেভাবে ওকে প্রণাম বলতাম, সেভাবে আবার বলি। সে হয়তো আজ এখানে নেই, কিন্তু আমার পাশে সব সময় আছে। আমায় যেন মোনা বলে ডাকছে।’
আজও প্রাসঙ্গিক দেব
৬৫ বছরের বেশি দীর্ঘ রুপালি পর্দার জীবন। ‘মহানায়ক’, ‘অস্মিরণীয় রোমান্টিক’ কিংবা ‘চিরসবুজ’ অভিনেতা অভিধায়ও ভূষিত করা যেতে পারে তাঁকে নির্দ্বিধায়। জীবনের শেষ সময়গুলোতেও সিনেমার সঙ্গে কেটেছে তাঁর। আজকের এই ‘বলিউড’ হয়ে ওঠার পথে পুরোটা সময় তিনি ছিলেন সামনের সারিতে। এই তো কিছুদিন আগের কথা। বলিউডে মুক্তি পাওয়া ‘রকি অওর রানি’ ছবিতে অভিনেতা ধর্মেন্দ্র তাঁর প্রেমিকা শাবানা আজমিকে দেখে গেয়ে উঠেছেন, ‘আভি না যাও ছোড় কার…’। পুরোনো দর্শকদের এক লহমায় নিয়ে গেছে দেব আনন্দের কাছে। তাঁর ‘হাম দোনো’ সিনেমার গান এটি। তার মানে আজকের এই ‘জওয়ান’ কিংবা করণ জোহর যুগেও টুক করে প্রেমের আশ্রয় হয়ে যান দেব আনন্দ। এটা নিশ্চিত বলিউডের ইতিহাসে, উপমহাদেশের কোটি ভক্তের হৃদয়ে তাঁর ছবি,তাঁর নাম বহাল থাকবে যুগের পর যুগ।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজার, হিন্দুস্তান টাইমস।