পাচারকালে বিজিবির অভিযানে কুচিয়া মাছ জব্দ
গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার কারবারী টিলা থেকে এসব মাছ জব্দ করে রামগড় বিওপির সদস্যরা।
সূত্র জানায়, কাল রাতে রামগড় ব্যাটালিয়ন (৪৩ বিজিবি) এর অধীনস্থ রামগড় বিওপিতে কর্মরত নায়েব সুবেদার মোঃ ঠান্ডু মিয়া এর নেতৃত্বে একটি টহল দল কর্তৃক খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানার অন্তর্গত কারবারী টিলা নামক স্থান হতে মালিকবিহীন ৩২০ কেজি কুচিয়া মাছ জব্দ করতে সক্ষম হয়।
বিজিবি জানায়, জব্দকৃত কুচিয়া মাছ সীতাকুন্ড কাস্টমস এ জমা করার কার্যক্রম প্রত্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মানুষ কুঁচিয়া চিনলেও মাছ হিসাবে খেতে বেশিরভাগই পছন্দ করেন না। কিন্তু বিদেশে এটি অনেক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের কোথাও কোথাও এর জনপ্রিয়তা আছে। কুঁইচা, কুইচ্চা, কুঁচে, কুঁচো ইত্যাদি নামে বিভিন্ন এলাকায় মাছটি পরিচিত। ঈল প্রজাতির, অনেকটা বাইন মাছের মত এই মাছটি সাধারণত পুকুর, হাওর, বাঁওড়, খাল বা ধানক্ষেতের তলদেশে বাস করে। অনেক সময় মাটিতে গর্ত করেও কুঁচিয়া বসবাস করে। বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ অপছন্দ করলেও কৃষি তথ্য সার্ভিসে বলা হয়েছে, এটি শারীরিক দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, বাতজ্বর, পাইলসসহ অনেক রোগ সারাতে মহৌষধের মতো কাজ করে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ ন্যাচার অ্যান্ড ন্যাচারাল রিসোর্সেস (আইইউসিএন) এর ২০০০ সালের তালিকা অনুযায়ী, এই মাছটিকে বিলুপ্তপ্রায় হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরেও বিদেশেও এই মাছের যথেষ্ট চাহিদা থাকায় ব্যাপক হারে প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়।