এডিসি হারুনের ওপরই প্রথমে হামলা হয়েছে, বললেন ডিএমপির (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার
ডিএমপির রমনা বিভাগের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুন অর রশিদের ওপর প্রথমে হামলা হয়েছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক।
রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ। এডিসি হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে থানায় মারধরের ঘটনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অতিরিক্ত কমিশনার এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় মারধর: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
এ ঘটনার সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত মন্তব্য করে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘এ ঘটনার সূত্রপাত যে কারণে হয়েছে, যিনি সূত্রপাত করেছেন, তিনিও (রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক) একজন সরকারি কর্মকর্তা। উনি আমাদের পুলিশের ওপর হামলাটি করেছেন। তিনি তো ইচ্ছে করলে আমাদের (পুলিশ) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন, অবহিত করতে পারতেন। অথবা তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন। সেটি না করে হাসপাতালের ভেতরে অসংখ্য মানুষের সামনে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া করা, তাঁর চশমা ভেঙে ফেলা, তাঁর ওপর আঘাত করা—এটা সঠিক করেছেন কি না, আমি জানি না। তবে এটা তদন্ত হওয়া উচিত।’
পুলিশ কখনোই কোনো কর্মকর্তার ব্যক্তিগত দায় নেয় না উল্লেখ করে অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদ বলেন, ‘পুলিশ বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেখানে যারা, যে অপরাধ করছেন, সেই অপরাধে তাঁদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমি মনে করি, এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে তদন্ত করছেন এবং করবেন। তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা যখন প্রতিবেদন দেবেন, তখনই বুঝতে পারবেন প্রকৃত পক্ষে কী ঘটেছে।’
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন–অর–রশীদের বক্তব্যের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিষয়টি জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।
ঘটনার বর্ণনা দিলেন আহত ছাত্রলীগ নেতা, এডিসি হারুন ও নারী কর্মকর্তা যা বললেন
রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের সঙ্গে বরখাস্ত এডিসি হারুন অর রশিদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত শনিবার ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। এ ঘটনায় রোববার হারুনকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত করে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের এক অফিস আদেশে তাঁকে ডিএমপির কেন্দ্রীয় সংরক্ষণ দপ্তরে বদলি করা হয়।