ড. ইউনূসের তথ্য নিতে গ্রামের বাড়িতে পুলিশ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তথ্য সংগ্রহে তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাটে গিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ৩ সেপ্টেম্বর বাড়ির আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। তবে মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ছাড়াও এক সপ্তাহ আগে পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) এক উপপরিদর্শকও (এসআই) তাঁর গ্রামের বাড়িতে গিয়েছেন তথ্য সংগ্রহ করতে।
নজুমিয়া হাট এলাকার ব্যবসায়ী ও ড. ইউনুসের আত্মীয় মঞ্জুর আলী আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ৩ সেপ্টেম্বর মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এক এএসআই এসে ড. ইউনূস সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাঁর কয়জন সন্তান, কোথায় থাকেন, কী করেন, গ্রামের বাড়িতে কে থাকেন—এসব। পাশাপাশি ড. ইউনূস ঢাকায় কোথায় থাকেন, তিনি কোথায় পড়ালেখা করেছেন, তা–ও জানতে চেয়েছেন।
শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৮ মামলা
এ সম্পর্কে মঞ্জুর আলী আরও বলেন, তিনি ছাড়াও পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছে। একপর্যায়ে ড. ইউনূসের এক ভাইয়ের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে বিস্তারিত জানতে চায়।
ড. ইনূসের গ্রামের বাড়িতে তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিলেন মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আজম। জানতে চাইলে আজ সকালে প্রথম আলোকে এএসআই আজম বলেন, ‘হাটহাজারী থানার পরিদর্শকের (ইন্টেলিজেন্স) নির্দেশে ড. ইউনূসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হয়েছে। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
ড. ইউনূস বিচারিক ‘হয়রানির শিকার’, বিবৃতিতে সই করব না: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল
যোগাযোগ করা হলে হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) মো. আমির হোসেন বলেন, ‘আমরা তথ্যগুলো নিয়ে রেখেছি।’ কেন নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জেলা বিশেষ শাখা (ডিএসবি) চাওয়ায় তথ্য নেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি, তাঁরা নিজেরা সেখানে গিয়ে তথ্য নিয়েছেন। আমাদের ফাঁড়ির পুলিশ যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেসব কোথাও পাঠানো হয়নি, আমাদের কাছেই রয়েছে।’
মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) থেকে ড. ইউনূসের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিএসবির উপপরিদর্শক (এসআই) মঈনুল ইসলাম ড. ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সপ্তাহখানেক আগে তথ্য নিয়েছেন। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ জানা যায়নি।
ড. ইউনূসের পক্ষে হিলারির ফেসবুক–টুইটারে পোস্ট
জানতে চাইলে আজ সকালে ডিএসবির এসআই মঈনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গ্রামের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। লোকজন জানিয়েছেন, তিনি কিংবা তাঁর পরিবারের কেউ সেখানে থাকেন না। লোকজন ড. ইউনূস সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেননি।’
ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শতাধিক নোবেল বিজয়ীর খোলাচিঠি
তথ্য নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেউ বলেছেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘কেউ বলেননি। নিজ থেকে নিয়ে রেখেছি।’ হঠাৎ করে ড. ইউনূস সম্পর্কে তথ্য নেওয়ার প্রয়োজন কেন পড়ল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নিয়ে রাখলাম।’