Home খেলা ১৯৩ রানেই থামল বাংলাদেশ
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩

১৯৩ রানেই থামল বাংলাদেশ

কে সবচেয়ে বেশি হতাশ করলেন?

ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংস মুখ থুবড়ে পড়েছে ১৯৩ রানেই। পাকিস্তান পেসারদের চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটি জানা কথাই। তবে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা সেটি নিতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটও ছুড়ে এসেছেন কেউ কেউ। এ ম্যাচে কার ব্যাটিং সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে আপনাকে?

প্রথম ৩ ওভারে ১১

তাসকিনের প্রথম ওভারেই দুই চারে শুরু করেছিলেন ফখর জামান। তাসকিনের পরের ওভারে ইমাম-উল-হক দারুণ একটি কাভার ড্রাইভ খেললেও অবশ্য বাউন্ডারি পাননি। মাঝে শরীফুল ইসলাম করেছেন মেডেন। ৩ ওভারে পাকিস্তান তুলেছে ১১ রান। লড়াইয়ে থাকতে গেলে দ্রুত উইকেট প্রয়োজন বাংলাদেশের, সেটি কি পাবে তারা?

গতির জবাব নেই

পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জটা সবার জানা। নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহর প্রথম স্পেল যে কোনো দলের টপ অর্ডারের জন্য বিশাল হুমকি। এই দুজন উইকেট নিতে ব্যর্থ হলে হারিস রউফ তো আছেনই। বাংলাদেশের বিপক্ষে পেস বোলিংটা শক্তিশালী করতে আজ একাদশে নেওয়া হয়েছে ফাহিম আশরাফকেও। শেষ পর্যন্ত সেই পেস বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং।

গতিতেই উড়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং

পেস বোলিংয়ের সামনেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং

রেকর্ডও পক্ষে নেই

১৯৩ বা এর কম সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ ওয়ানডে জিতেছে দুবার।

১৯৩ রানের সংগ্রহ, প্রতিপক্ষ বিশ্বের এক নম্বর ওয়ানডে দল। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের সম্ভাবনা খুব একটা থাকার কথা নয়। রেকর্ডও আশা জোগাচ্ছে না মোটেও। এক কম সংগ্রহ নিয়ে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয়ের ঘটনা আছে মাত্র দুটি। সর্বশেষ ঘটনাটি ২০১০ সালের, মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ১৭৪ রান নিয়ে। তার আগেরটি ১৯৯৯ সালের, বিশ্বকাপে এডিনবরায় স্কটল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ১৮৫ রান করেও।

১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশ

রউফের পর নাসিম শাহ! আফিফও ধরা পড়লেন শর্ট বলে। পুল করতে গিয়েছিলেন, সফল হননি। ধরা পড়েছেন মিড অন থেকে ছুটে আসা ফাহিম আশরাফের হাতে। দুই বল পর ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার গতির বল সামলাতে পারেননি শরীফুল। জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। ১৯৩ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

১০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট নেই, শুরুতেই চাপে পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ কমের মধ্যে আটকে যাওয়ার শঙ্কাতেই ছিল। কিন্তু মাঝে সাকিব ও মুশফিকের ১০০ রানের জুটি আশা জুগিয়েছিল। কিন্তু দুজনের কেউই ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, শেষ ৪ উইকেট পড়েছে ৩ রানে।

সাকিব আগেভাগেই ফেরার পর অবশ্য চাপ বাড়ে মুশফিকের, শামীম সে অর্থে তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানের স্পিনার, পার্ট-টাইমার বোলারদের বিপক্ষে স্কোরিংয়ের একটা সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ফ্রন্টলাইন পেসারদের ফেরা ছিল সময়ের অপেক্ষা। তাঁরা ফিরেছেন, বাংলাদেশও গুটিয়ে গেছে দ্রুতই।

আগের ম্যাচে এ মাঠেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩০০-পেরোনো স্কোর গড়ে বড় জয় পাওয়া বাংলাদেশ দুদিন পরই দেখল ভিন্ন চিত্র। এবার ২০০-এর আগেই শেষ তারা। পাকিস্তানের পেস আক্রমণের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা ছিল কঠিন। বাংলাদেশ সেটি নিতে পারেনি। রউফ, নাসিম ও আফ্রিদি মিলেই নিয়েছেন ৮ উইকেট।

দুইয়ে দুই রউফের

মুশফিকুর রহিম—কট বিহাইন্ড। তাসকিন আহমেদ—কট বিহাইন্ড। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারিতে পাঞ্চ করতে গিয়েছিলেন তাসকিন, রউফের মতো বোলারকে কোনো নয় নম্বর ব্যাটসম্যানের যেটি উচ্চাভিলাষী শটই বলতে হবে। পরপর ২ বলে উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে রউফ! সেটি অবশ্য হতে দেননি শরীফুল ইসলাম।

জোড়া আঘাতে বাংলাদেশকে আরও চাপে ফেললেন রউফ

রউফকে মারতে গিয়ে আউট মুশফিক

সাকিবের পর শামীম ফেরাতে সঙ্গীহীনতায় ভোগার শঙ্কায় ছিলেন মুশফিক। কিন্তু তিনি নিজেই আউট হয়ে গেলেন। এ ওভারেই ফেরা রউফের ওপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন, কিন্তু ডাউন দ্য গ্রাউন্ডে এসে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে রিজওয়ানের হাতে ধড়া পড়েছেন তিনি। লাফ দিয়ে ক্যাচ নিতে গিয়ে অবশ্য পায়ে টান পড়েছে রিজওয়ানের। কিন্তু এ অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে কে টানবেন, সেটিই প্রশ্ন এখন।

 

উইকেট ছুড়ে এলেন শামীম

আফ্রিদিকে অমন ছক্কা পর ইফতিখারকে উইকেট দেওয়া—শামীমকে হতাশ করার জন্য এ লাইনটিই যথেষ্ট। লেংথ বল ছিল, তবে শামীম যেভাবে মিড অনের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন তেমন নয়। আগবাড়িয়ে খেলা শটে বল উঠে গেছে ওপরে, মিডউইকেটে ইমাম-উল-হক নিয়েছেন সহজ ক্যাচ। ২৩ বলে ১৬ রান শামীমের, যে ইনিংস শেষ হলো হতাশাজনক এক আউটে। অন্যপ্রান্তে মুশফিকের চাপটা বাড়ল আবার, তাঁকে সঙ্গ দিতে এসেছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান আফিফ। এখনো বাকি ১৫.২ ওভার।

আফ্রিদিকে শামীমের ছক্কা

এবং ফিরলেন আফ্রিদি। ম্যাচের পরিস্থিতিই বলছিল, উইকেটের খোঁজে যেতে পারেন বাবর। ৩৪তম ওভারে ফেরানো হয়েছে আফ্রিদিকে। তবে তাঁদের হয়ত একটু বিস্মিতই করলেন শামীম। শরীর বরাবর একটু শর্ট লেংথ করেছিলেন আফ্রিদি। পা তুলে ফ্লিক করে ছক্কা মেরেছেন শামীম। বাংলাদেশ ইনিংসে এটি প্রথম ছক্কা। আগের ম্যাচে ছিল শামীমের ওয়ানডে অভিষেক, ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে শুরু করেছিলেন শামীম।

আফ্রিদিদের ফেরাবেন বাবর?

মুশফিককে সঙ্গ দিচ্ছেন শামীম হোসেন। এরপর আছেন আফিফ হোসেন। আফগানিস্তানের মতো এ ম্যাচেও বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে পার্টটাইমার ইফতিখারকে দিয়ে তৃতীয় ওভারও করালেন বাবর। ফ্রন্টলাইন তিন পেসারের বাকি ৫টি করে ওভার। তাঁদের কাউকে কি দেখা যাবে শিগগির?

 

৪৬তম ফিফটি মুশফিকের

সাকিব ফেরার পর ফিফটি পূর্ণ করেছেন মুশফিক। ক্যারিয়ারে মুশফিকের এটি ৪৬তম ওয়ানডে ফিফটি। তাঁকে সঙ্গ দিতে এসেছেন শামীম হোসেন।

ফিফটির পরই থামলেন সাকিব

সালমান আগার পর ইফতিখার আহমেদ—বাবর আনলেন তাঁদেরকেও। কিন্তু ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ফাহিম আশরাফ। সেই পুরোনো শর্ট বলের তত্ত্বে গেলেন ফাহিম, সে ফাঁদে পা দিলেন সাকিব। পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিব ও মুশফিকের জুটি ভেঙেছে ঠিক ১০০ রানেই। সাকিব থেমেছেন ১০০ রানের পরপরই।

সাকিবের ফিফটি

ফিফটি করেছেন সাকিব

ফাহিম আশরাফের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করলেন সাকিব আল হাসান, ৫৩ বলে। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সাকিবের এটি ৯৭তম ফিফটি, আছে ৯টি সেঞ্চুরি। ফিফটির কাছে আছেন মুশফিকুর রহিমও।

২ ওভারে ৩ চার

নেওয়াজকে বাদ দেওয়াতে পাকিস্তান খেলছে একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। তবে লাহোরের গরমে পেসারদের লম্বা স্পেল করা কঠিন। শাদাবের সঙ্গে আনা হয়েছে সালমান আগাকে, তবে তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে দুটি চার। পরের ওভারে শাদাবকেও আরেকটি চার মেরেছেন মুশফিক। মাঝের ওভারগুলোতে বোলিং, বিশেষ করে স্পিন—এ জায়গায় পাকিস্তানের একটা দূর্বলতা ফুটে উঠেছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও। যদিও পরে গিয়ে পেসাররা আবার ফেরান তাদের।

 

সাকিব-মুশফিকের জুটিতে ৫০, বাংলাদেশের ১০০
২৬তম বার সাকিব ও মুশফিকের জুটিতে উঠল ৫০ রান।

শাদাবকে সুইপ করে চার মেরে বাংলাদেশ ১০০ পূর্ণ করেছেন মুশফিক। এর আগেই সাকিবের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৫০ রান। ২১ ওভারশেষে ৪ উইকেটে ১০৫ রান।

বাঁচলেন সাকিব

টপ-এজড, তবে সেটি গেছে উইকেটকিপার রিজওয়ানের নাগালের বাইরে দিয়ে। সেই চারের ক্ষেত্রে সাকিবকে সৌভাগ্যবান বলতে হবে। তবে পরের বলে কাট করে যে চার মেরেছেন, তাতে ভাগ্যের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু এক বল পর নাসিমকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ৩২ রানে।

ফিরেছেন নাসিম

কাঁধে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া নাসিম ফিল্ডিংয়ে ফিরেছেন আগেই। এবার বোলিংয়েও ফিরলেন। দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম ওভারে নাসিম দিয়েছেন ৩ রান। ১৮ ওভারশেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুশফিক-সাকিবের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানে। বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিতে এ জুটি আরও বড় হতে হবে, সেটি বোঝাই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *