বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার
পটুয়াখালীর বাউফল থেকে শিক্ষা সফরে কুয়াকাটা বেড়াতে নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের বলাৎকারের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক সেলিম গাজীকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৮। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ভরতকাঠী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের বিশেষ দল।
সোমবার দুপুরে নগরীর রূপাতলী র্যাব-৮ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব-৮ কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীর বাউফলের বড় ডালিমা মদিনাতুল উলুম কওমিয়া হাফিজিয়া ও নূরানী কিন্ডার গার্টের মাদ্রাসা ও এতিমখানার পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক সেলিম গাজী তার মাদ্রাসার ছাত্রদের শিক্ষা সফরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে একটি হোটেল কক্ষে মাদ্রাসা ছাত্র এক শিশুকে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বলাৎকার করেন সেলিম গাজী। এর পর বিভিন্ন সময় শিশুটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে বলাৎকার করেন সেলিম গাজীকে। অব্যাহত বলাৎকারে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে বাউফলসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করায় তার পরিবার। সব শেষ ঢাকার মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৫ আগস্ট সন্ধ্যায় শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ২৭ আগস্ট বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগেই আত্মগোপন করে অভিযুক্ত সেলিম গাজী।
এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৮। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার ভরতকাঠী এলাকা থেকে অভিযুক্ত সেলিম গাজীকে গ্রেফতার করে র্যাব-৮ এর বিশেষ দল। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সেলিম গাজী একাধিকবার শিশুটিকে বলাৎকার করার কথা স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত সেলিম গাজীকে পটুয়াখালীর বাউফল থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানান র্যাব-৮ কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।