Home দুর্ণীতি বাংলাদেশ ইস্যুতে রাশিয়ার ‘অভিযোগ’ প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
জুলাই ১১, ২০২৩

বাংলাদেশ ইস্যুতে রাশিয়ার ‘অভিযোগ’ প্রসঙ্গে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি আমেরিকার দিক থেকে যেসব তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা এবং সরকারের দিক থেকে প্রকাশ্যে ‘অসন্তুষ্টি’ প্রকাশ করা হয়েছে।এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটারে এক বিবৃতির মাধ্যমে বলেছে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো যে তৎপরতা দেখাচ্ছে সেটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নগ্ন হস্তক্ষেপের’ শামিল।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক বাংলাদেশি সাংবাদিক বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন– বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে আগ্রহ দেখাচ্ছে সেটিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে রাশিয়া, চীন ও ইরান। গত সপ্তাহে রাশিয়া ও চীন এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নেটওয়ার্কে এর সমালোচনা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মন্তব্য জানতে চান ব্রিফিংয়ে।

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশর অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অন্যদের কেন আপত্তি থাকবে সেটি তিনি বুঝতে পারছেন না।

তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলা ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ হস্তক্ষেপ বলে মনে করে না যুক্তরাষ্ট্র।

‘আমাদের দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অন্য কোনো দেশ যদি আমাদের সাথে কথা বলে আমরা সেটিকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করি না,’ বলেন ম্যাথিউ মিলার।

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের আলোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। কারণ এটা আমাদের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’

‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে তার প্রতিশ্রুতি বার বার ব্যক্ত করেছেন। ৫০ বছরের বেশি সময় যাবত বাংলাদেশের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে আমরা উভয়েই এই আকাঙ্ক্ষা ব্যক্তি করি।’

মিলার বলেন, বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক দলের বিপরীতে আরেকটি রাজনৈতিক দলকে তারা সমর্থন করেন না। বরং সত্যিকার গণতান্ত্রিক ধারাকে সমর্থন করে আমেরিকা।

মিলার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে করলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া এবং সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু ১১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং ইউরোপের যে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে, সেই প্রেক্ষাপটে এই সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *