ফাঁস হয়নি, ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য তথ্য উন্মুক্ত ছিল পলক
তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সরকারি কোনো ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি এবং কোনো নাগরিকের তথ্যফাঁস হয়নি। ওয়েবসাইটের দুর্বলতার জন্য নাগরিকদের তথ্য উন্মুক্ত ছিল। এ সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিশ্বখ্যাত ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ ব্যক্তিগত তথ্যফাঁস হয়েছে। তবে সরকারের কোন ওয়েবসাইট থেকে তথ্যগুলো ফাঁস হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি টেকক্রাঞ্চ।
বিটক্র্যাক সাইবার সিকিউরিটির জন্য কাজ করা গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস বলেছেন, তিনি ঘটনাক্রমে ২৭ জুন ফাঁসটি আবিষ্কার করেন এবং এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (সিইআরটি) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ফাঁসের মধ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো বৈধ কিনা তা টেকক্রাঞ্চ একটি পাবলিক সার্চ টুলের মাধ্যমে যাচাই করছে।
১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি প্রতিটি নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয় বাংলাদেশে, যা প্রত্যেক নাগরিককে একটি অনন্য পরিচয়পত্র প্রদান করে। কার্ডটি বাধ্যতামূলক ও নাগরিকদের বিভিন্ন পরিষেবায় অ্যাক্সেস দেয়, যেমন একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট, জমি কেনা-বেচা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা।