জামিনেই থাকবেন ড. ইউনূস, ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও অব্যাহতি
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে শ্রম আদালতে করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে জামিনেই থাকবেন তিনি। জামিন বহাল রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত হাজিরা থেকেও তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে ড. ইউনূসের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আদালত শুনানি শেষে আবেদনটি খারিজ করে দেন।
আবেদনে বলা হয়, ড. ইউনূস আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে দেখা গেছে ১০১ জন কর্মী ও কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা ছিল তা করা হয়নি। তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিলও গঠন করা হয়নি। আইন মেনে কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।
এজাহারের ভিত্তিতে শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়। গত ১২ অক্টোবর শ্রম আদালত চার অভিযুক্তকে জামিন দেন। পরে ৭ ডিসেম্বর মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি মামলার প্রক্রিয়া স্থগিত করেন। গত বছরের ১৭ আগস্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস।