গোবিন্দগঞ্জে রোপা আউশ ধান চাষে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা
গাইবান্ধা সংবাদদাতা : গোবিন্দগঞ্জে রোপা আউশ চাষ বাড়াতে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত খরায় ফসল ঘাটতি মোকাবিলায় কৃষি প্রণোদনা পেয়ে কৃষকরা ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে উপজেলার হরিরামপুর, দরবস্ত, গুমানিগঞ্জ ও মহিমাগঞ্জ, শিবপুর, নাকাই, কাটাবাড়িসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন রোপা আউশ ধান চাষ চলছে। এই এলাকার জমি ধান-পাট, শাক-সবজিসহ সব ধরণের কৃষি ফসল উৎপাদন উপযোগী। বিশেষ করে রোপা আমন ও বোরো ধান চাষের পাশাপাশি খরিপ-১ মৌসুমে রোপা আউশ ধান চাষাবাদ করা হয়। বোরো ও আমন ধানের মধ্যবর্তী সময়ে রোপা আউশ ধান চাষাবাদ হয়। মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আউশ ধানের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এই ধান বর্ষালী ধান নামে পরিচিত। গত কয়েক বছর যাবত গোবিন্দগঞ্জের কৃষকরা ব্রি ধান-২৮, ৪৮, ৫৫ ও ৪৩ জাতসহ বিভিন্ন জাতের আউশ ধান চাষ করছেন। যদিও বোরো মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ধান উৎপন্ন হয়েছে তারপরে কিছু কিছু এলাকার কৃষক একটানা খরায় কিছু টা হলেও ফলন ঘাটতির শিকার হয়েছে। তাই কৃষকরা জমি ফেলে না রেখে রোপা আউশ রোপণে আগ্রহী হয়ে মাঠে মাঠে চারা রোপণ কাজ চালিয়ে করছেন । দরবস্ত ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, খাদ্য ঘাটতির জন্য নয় অধিক খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এ বছর ২বিঘা জমিতে আউশ ধানের চারা রোপন করেছি। শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি নির্ভর এই ফসল চাষে খরচ তুলনা হয়। এসময় বড় কোন দুর্যোগ ছাড়াই আউশ ধান ঘরে তোলা যায়। ফলন ভালো হলে বিঘাপতি প্রায় ১২ থেকে ১৩ মণ ধান ঘরে তোলা সম্ভব। এতে করে কোন কারণে সংসারে খাদ্য ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করা যায়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, চলতি মৌসুমে ১ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে প্রায় ৬০০ হেক্টর অর্জন হয়েছে।
রোপা আউশ ধান বৃষ্টি নির্ভর আবাদ। এতে সেচ খরচ সাশ্রয় হয়। এ আবাদে ফলন যেমন কম হয় তেমনি খরচও কম। কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এতে প্রতিবছরই কৃষক আউশ ধান চাষির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড : ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সানোয়ার ইসলাম তার মোবাইল ফোন থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য শহরের একটি দোকানে যান। সেখানে স্থানীয় নগদ এজেন্ট আবু হাসানের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের সময় তার সন্দেহ হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হ্যাকের মাধ্যমে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেন।পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সানোয়ারকে ৪৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন জানান, অন্যের ভাতার টাকা উত্তোলনের দায়ে সানোয়ার ইসলাম নামে এক যুবককে ৪৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।