Home বিশ্ব অবশেষে তুরস্কে পর্ণ সাইট অনলি ফ্যানস বন্ধ হল
জুন ৮, ২০২৩

অবশেষে তুরস্কে পর্ণ সাইট অনলি ফ্যানস বন্ধ হল

অনলাইন ডেস্ক: অবশেষে পর্ণ সাইট অনলিফ্যানস নিষিদ্ধ করেছে তুরস্ক। দেশটির রক্ষণশীল সংস্থা সিআইএমইআর সম্প্রতি এ নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করে। তারই প্রেক্ষিতে অনলিফ্যানসে প্রবেশ ব্লক করে দিয়েছে দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ খবর দিয়েছে আরটি।

খবরে জানানো হয়, আঙ্কারা যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অনলিফ্যানস নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ঘোষণা করেনি, তবে তুরস্কের গণমাধ্যমগুলো খবরটি নিশ্চিত করেছে। তুরস্ক থেকে অনলিফ্যানসে প্রবেশ করলে বলা হচ্ছে, এই সাইটটি নিরাপদ নয়।

অনলিফ্যানস হচ্ছে এমন একটি সাইট যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করতে পারেন। তবে এই আয় বিজ্ঞাপনভিত্তিক নয়। সাধারণত নির্দিষ্ট সাবস্ক্রিপশন ফি’র মাধ্যমে অনলিফ্যানস ক্রিয়েটরদের কন্টেন্ট দেখা যায়।

অনলিফ্যানস নিজেদেরকে বয়স্কদের সাইট বলে দাবি করলেও এখানে পর্নস্টার থেকে শুরু করে সাধারণ তরুনীরাও নিজেদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও বিক্রি করে থাকে।

অনলিফ্যানস বন্ধ করে দেয়ায় সে দেশের পশ্চিমাপন্থী  ক্রিয়েটররা সংকটে পড়তে চলেছেন। এরইমধ্যে টুইটারে এরকম ক্রিয়েটররা এ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পোস্ট করেছেন। কেউ কেউ ব্যবহারকারীদের ভিপিএন ব্যাবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

তবে তুরস্কের রক্ষণশীলরা বলছেন, অনলিফ্যানস মানুষকে অনৈতিক পদ্ধতিতে অর্থ আয়ে উৎসাহিত করছে। যদি এখনই এ ধরণের প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে তুরস্কের পারিবারিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে। অনলিফ্যানসে বর্তমানে ১৯০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছেন, যারা অর্থ দিয়ে বিশ্বজুড়ে তরুণীদের নগ্ন ছবি ও ভিডিও কিনে থাকেন। প্রতি দুই দিনে নতুন করে এক মিলিয়ন মানুষ অনলিফ্যানসে অর্থ ঢালছেন।

অনলিফ্যানসে ২১ লাখ ক্রিয়েটর রয়েছেন। তারা নিজেদের ছবি ও ভিডিওর জন্য নির্দিষ্ট অর্থ গ্রহণ করে থাকেন। গবেষণায় দেখা গেছে, অনলিফ্যানসে যারা জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন তারা প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। তবে গড় হিসেবে ক্রিয়েটরদের এই আয় মাত্র ১৫১ ডলার! অনলিফ্যানস ক্রিয়েটরদের আয়ের ২০ শতাংশ নিয়ে নেয়। সাধারণত সদ্য ১৮ বছরে পা দেয়া তরুণীরা সহজ আয়ের উৎস হিসেবে অনলিফ্যানসকে বেছে নেয়। এর আগে রাশিয়া থেকে নিজেদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়েছিল অনলিফ্যানস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *