সরকারের সমালোচনা নিষিদ্ধ করে জিম্বাবুয়েতে ‘কঠোর’ আইন পাস
অনলাইন ডেস্ক,
জিম্বাবুয়ে পার্লামেন্ট একটি বিতর্কিত আইন অনুমোদন করেছে যা দৃশ্যত দেশপ্রেমকে উৎসাহিত করে তবে বিরোধীরা জাতীয় নির্বাচনের আগে এটিকে ভিন্নমতাদর্শীদের দমনের “কঠোর” প্রচেষ্টা হিসাবে নিন্দা করেছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সংসদের নিম্নকক্ষে যে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে তা আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের ঐ দেশটির “সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থের” ক্ষতি করে এমন কাজকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করবে।
সবচেয়ে চরম অবস্থায় লঙ্ঘনকারীদের ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হওয়ার ঝুঁকি থাকবে ।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সক্রিয়কর্মি হোপওয়েল চিনোনো টুইটারে লিখেছেন, “বাকস্বাধীনতা এখননিস্তব্ধ, তিনি আরও লিখেছেন যে এটি “জিম্বাবুয়ের জন্য খুবই দুঃখের দিন।”
কয়েক মাসের অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে সরকার ২৩ আগস্ট দেশব্যাপী নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই আইনটি অনুমোদিত হয়।
দেশটিতে দারিদ্র্য, বিদ্যুৎ ঘটতি এবং অন্যান্য ঘাটতি নিয়ে অসন্তোষ অত্যন্ত বেশী হওয়া সত্বেও বিশ্লেষকেরা দেশে উত্তেজনাপূর্ণ ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ দলের আইনপ্রণেতা জোসেফ চিনোটিম্বা পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় বলেছেন, জিম্বাবুয়ের জনগণকে “দেশপ্রেমিক” হতে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এই আইনটিকরা হয়েছে।
চিনোটিম্বা বলেন, “এই বিলটি রাজনৈতিক দলগুলির অস্তিত্বকে খর্ব করার উদ্দেশ্যে নয় এটি জিম্বাবুয়ের জনগণকে তাদের দেশকে ভালবাসতে এবং এর নিন্দা করা বন্ধ করতে উৎসাহিত করার জন্য করা হয়েছে।“
তবে বিরোধীরা বলছেন, তারা এমন এক সময়ে সরকারের সমালোচনা নিষিদ্ধ করেছে যখন মানবাধিকার গোষ্ঠী ও বিরোধী দলগুলো এরই মধ্যে (সরকারের বিরুদ্ধে) দমনপীড়নের অভিযোগ করছে।
জিম্বাবুয়ে হিউম্যান রাইটস এনজিও ফোরামের পরিচালক মুসা কিকা বলেছেন, প্রস্তাবটি এখন কেবল প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়ার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কিকা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে “জিম্বাবুয়েতে আমরা যা দেখেছি, এই প্রস্তাবটিহতে যাচ্ছে সবচেয়ে কঠোরতম আইন।”