জ্বীন সিনেমা দেখার জন্য দর্শকরা টিকিট পাচ্ছে না- সজল
অভিনেতা আব্দুন নূর সজল। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। এই ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘জ্বীন’। এই সিনেমায় সজলের নায়িকা পূজা চেরি। এ নিয়ে যুগান্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে সজলের।
যুগান্তর: সম্প্রতি আপনার অভিনীত ‘জ্বীন’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে, অনুভূতি কেমন?
সজল: ‘জ্বীন’ ছবিটি নিয়ে আমি অনেক বেশি উজ্জীবিত। আমার অনেক ভালো লাগছে। যতটুকু আশা করেছিলাম, তার চাইতে অনেক বেশি দর্শকদের কাছে সাড়া পাচ্ছি। এই ছবিটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের প্রতিদান বা ফলাফল দর্শকরা আমাকে দিচ্ছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সবার কাছে।
ছবিটির আলাদা বিশেষত্ব কী আছে?
ছবিটির আলাদা বিশেষত্ব বলতে এটি সাইকো থ্রিলার একটি গল্প। সাইকো থ্রিলার গল্পের বাইরেও এটি একটি পরিবারের গল্প। একটা বিপদে পরিবারের মানুষগুলো কীভাবে একসঙ্গে হয়ে মোকাবিলা করার চেষ্টা করে, সেই গল্প। দর্শকদের জন্য এটি অবশ্য ভিন্ন একটি গল্প।
যুগান্তর: সাধারণ দর্শকের প্রতিক্রিয়া কেমন?
সজল: সাধারণ দর্শকের প্রতিক্রিয়াতে আমি মুগ্ধ, অভিভূত। এমনিতেই এই ছবিটি গল্পভাবনা থেকে একেবারে আলাদা। মানের জায়গা থেকেও আলাদা। নাদের ভাই একজন পরীক্ষিত অভিনেতা ও পরিচালক। এবং তিনি অভিনয় থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ভীষণ রকমের খুঁতখুঁতে একজন মানুষ। তিনি চেষ্টা করেছেন আমাদের সবাইকে দিয়ে সর্বোচ্চ কাজটুকু করাতে। আশা করি তিনি এতে সফল হয়েছেন। আমরাও সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এখন দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি। ছবি দেখার জন্য দর্শকরা হলে টিকিট পাচ্ছে না। এ কথাগুলো চারপাশে শুনতে পাচ্ছি। পোস্ট দেখতে পাচ্ছি। ভালো লাগছে ভীষণ। প্রতি মুহুর্তেই আলহামদুলিল্লাহ বলছি।
যুগান্তর: ছবিটি নিয়ে আপনার নিজের মূল্যায়ন কী?
সজল: নিজেকে নিয়ে তো কখনই মূল্যায়ন করা যায় না। তার পরও একটা বিষয় বলতে পারি— আমরা যারা অভিনেতা, তারা প্রতিটি ক্ষেত্রেই চেষ্টা করি নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করতে। অভিনয় করে দর্শকদের প্রিয় হতে পারছি, এটিই প্রাপ্তি।
যুগান্তর: ‘জ্বীন’ ছবিটিতে আপনার বিপরীতে পূজা চেরি অভিনয় করেছেন, তার সঙ্গে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সজল: পূজা একজন মেধাবী অভিনেত্রী। তার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ভীষণ ভালো। অভিনয়ের প্রতি তার বেশ মনোযোগ আছে। ভীষণ মনোযোগী একজন অভিনেত্রী। শুধু পূজা নয়, ‘জ্বীন’ ছবিটিতে যারা অভিনয় করেছেন, তারা সবাই অভিনয়ের প্রতি ভীষণ মনোযোগী ছিলেন। তারা সবাই চেষ্টা করেছেন দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে।
যুগান্তর: বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
সজল: ‘জ্বীন’কে ঘিরেই পুরো ব্যস্ততা। ‘জ্বীন’ ছবির জন্যই বিভিন্ন প্রচারে যাওয়া হচ্ছে।
যুগান্তর: সামনে আর কী কী ছবি আসছে?
সজল: বেশ কিছু ছবি করা আছে। হয়তো সামনেই আসবে। হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ ও জাহিদ হোসেনের ‘সুবর্ণভূমি’। ইনশাআল্লাহ এগুলো সামনে আসবে।
যুগান্তর: দর্শকদের উদ্দেশে কিছু বলার আছে?
সজল: দর্শকদের উদ্দেশ্যে এইটুকুই বলব, ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ‘জ্বীন’ ছবিটি হলে চলছে, যখনই সময় পাবেন ‘জ্বীন’ ছবিটি দেখে আসবেন।
যুগান্তর: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
সজল: ধন্যবাদ আপনাকেও।