রাজশাহীতে ৪ মেয়র প্রার্থীই বৈধ, কাউন্সিলর পদে ৭ জনের মনোনয়ন বাতিল
আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচন উপলক্ষ্যে যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র পদে চার মেয়র প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল করা ১৭০ জনের মধ্যে সাতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাসিক নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য রাসিক নির্বাচনে ভোটযুদ্ধে লড়তে মেয়র পদে ৪ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১২৪ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
তাদের মধ্যে মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিকের সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত প্রার্থী মুরশিদ আলম, জাতীয় পার্টির মহানগর আহবায়ক ও লাঙ্গলের প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং জাকের পার্টি সমর্থিত প্রার্থী লতিফ আনোয়ার।
এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- ১৭নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলী, ২২নং ওয়ার্ডের সাইফুল আজিজ, ৩০নং ওয়ার্ডের নুরুল ইসলাম, মো. আলাউদ্দিন ও ফয়সাল আহমেদ রাতুল, ১৩নং ওয়ার্ডের মাসুদ রানা এবং ২৬নং ওয়ার্ডের আকতারুজ্জামান।
রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাসিক নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে কোনো অসঙ্গতি না পাওয়ায় মেয়র পদে মনোনয়ন দাখিল করা চারজনেরই প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন দাখিল করা ৪৬ জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে মনোনয়নপত্রের আবেদনে কিছু তথ্য ভুল ও অসংলগ্ন থাকায় সাতজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। যে প্রার্থীদের মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে বাতিল হয়েছে তারা আপিল করতে পারবেন। তারা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করবেন।
প্রসঙ্গত, বৈধ এসব প্রার্থীর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১ জুন। প্রতীক বরাদ্দ ২ জুন। তারপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামতে পারবেন।
আগামী ২১ জুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমএমের মাধ্যমে সিটির ৩০টি ওয়ার্ডের সম্ভাব্য ১৫২টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৩টি রুমে ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার লাখ লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ এবং নারী এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২। আর এবার নতুন ৩০ হাজার ১৫৭ ভোটার প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।