Home ভাইরাল নিউজ অপারেশন করতে গিয়ে রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ!
মে ২৪, ২০২৩

অপারেশন করতে গিয়ে রোগী মেরে ফেলার অভিযোগ!

অনলাইন ডেস্ক,

রংপুর মহানগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হায়দার আলীর হাতে অপারেশন করা হয়। এ সময় তার মৃত্যুর অভিযোগ নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। পরিবারের দাবি, ভুল অপারেশনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতের এ ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

তিনি বলেন, আমার ছেলের বাঁ হাতের পেশির কাছে হাড্ডি ভেঙে যায়। তাহলে সেটা যদি কেটেও ফেলা হতো, তাতেও কি মানুষ মারা যায়। আসলে এটা অবৈধ ক্লিনিক এবং চিকিৎসকও কিছু জানে না। আমি চাই, আমার ছেলেকে যারা অপারেশনের নামে হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক। যাতে আর কোনো বাবা এভাবে তার উপার্জনক্ষম পুত্রকে না হারায়।

হায়দার আলীর শ্যালক জানান, যখন রক্ত দেওয়া হচ্ছিল, তখন স্কিলিং করা হচ্ছিল না। তখন আমি এর প্রতিবাদ করি। তারা বাধ্য হয়ে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে রক্তের স্কিলিং করে। যে হাসপাতালে রক্ত স্কিলিং করার কোনো ব্যবস্থা নেই। তারা আবার স্পেশালাইজড শব্দ জুড়ে দিয়েছে। তারা ইচ্ছা করে ভুল অপারেশনে আমার দুলাভাইকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।

মৃত হায়দার আলী এক কন্যাসন্তানের জনক। তিনি শিক্ষানবিস আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করার পাশাপাশি পিতার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।

রংপুর নগরীর মেট্রোপলিটন ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান, গত ২১ মে মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁ হাত জখম হওয়া লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার ফজলুল হকের পুত্র হায়দার আলী (২৭) নামের এক যুবক ভর্তি হন রংপুর মহানগরীর ধাপের ভিশন স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

ওই দিন চিকিৎসক ডা. এম এম হক মাহফিল তার হাতের অপারেশন করলে রোগীর অবস্থার অবনতি হয়। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রোগীকে রক্ত দেওয়ার পর তিনি মারা যান। তবে ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *