ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় থাপ্পড়
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় দুই নারীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বিকেলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগ সূত্রে জনা যায়, উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজমা বেগম ও জান্নাত বেগম। তাঁরা দুজনই গৃহিণী। নাজমা বেগম তাঁর ছেলেকে বিদেশে পাঠাবেন, এ জন্য টাকার প্রয়োজন। স্বামীর জন্য মাছ ধরার জাল কিনবেন বলে জান্নাত বেগমেরও টাকার প্রয়োজন।
এ জন্য পাঁচ মাস আগে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিতে এসেছিলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে। নিয়ম মেনে ঋণের আবেদন করলেও তাঁদের কাছ থেকে অফেরতযোগ্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেন সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তবে আবেদনের পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও তাঁরা ঋণ পাননি। পরে সোমবার তাঁরা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে এসে ঘুষের ১০ হাজার টাকা ফেরত চান।
টাকা ফেরত চাওয়ায় ওই কর্মকর্তা প্রথমে নাজমাকে থাপ্পড় মারেন। এতে জান্নাত বেগম বাধা দিলে তাঁকেও ধাক্কা মারতে মারতে অফিসের বাইরে নিচে ফেলে দেন। পরে ওই দুই নারী দৌড়ে ইউএনও কার্যালয়ে আশ্রয় নেন এবং বিচার চেয়ে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্যের জন্য তাঁর মোবাইলে একাধিবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, ‘তদন্ত করা হবে।’