কোন কোন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপ
এশিয়া কাপ ২০২৩ এর ভাগ্য এখনো ঝুলছে ‘রাজনৈতিক রশি টানাটানিতে’। তবে টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) দুটি ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে, যেখানে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো। জিও নিউজ রোববার তাদের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটি প্রতিবেদনে বলেছে, দেশটির লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে চারটি ম্যাচ আয়োজন করবে পিসিবি। আর টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পিসিবি মনে করছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং আবুধাবির তুলনায় দুবাইয়ে বেশি টিকিট বিক্রি হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এশিয়া কাপের জন্য তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে তারা ইভেন্টটি একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে।
তবে দুই পক্ষই অনড় অবস্থানে থাকলে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। তাই অচলাবস্থা কাটাতে পিসিবি দুটি বিকল্পের সঙ্গে হাইব্রিড মডেল উপস্থাপন করে। প্রথম বিকল্পে বলা হয়, ভারত তাদের ম্যাচগুলো একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে, যেখানে অন্য সমস্ত ম্যাচ খেলা হবে পাকিস্তানে।
অপর একটি বিকল্পে বলা হয়, প্রথম পর্বে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। আর দ্বিতীয় পর্বে, ফাইনালসহ ভারতীয় দলের ম্যাচ অর্থাৎ এই পর্বের ম্যাচগুলো একটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলা হবে৷
এর আগে পিসিবির ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি চলতি বছরের এশিয়া কাপের সফল আয়োজন এবং ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণকে হুমকির মুখে ফেলে দেওয়া সংকট সমাধানের জন্য একটি যুক্তিসঙ্গত পদ্ধতি আনয়নের আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে নাজাম শেঠি বলেন, এশিয়া কাপে অংশ নিতে পাকিস্তান ভ্রমণ করতে ভারতের অস্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সম্ভাবনা রয়েছে যে, পাকিস্তান সরকার বিশ্বকাপে অংশ নিতে তাদের দলকে ভারতে যেতে দেবে না। সেক্ষেত্রে ক্রিকেটই চূড়ান্ত ভুক্তভোগী হবে।
পিসিবি প্রধানের এমন সতর্কতার পরই মূলত উল্লিখিত হাইব্রিড প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। আশা করা হচ্ছে, এই মডেলেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের এশিয়া কাপ।